VVPAT-এর স্লিপ যাচাই সহ EVM সংক্রান্ত সব আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ভোটে ইভিএম-কে একেবারেই ক্লিনচিট দিল দেশের শীর্ষ আদালত। ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণের আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আদালতের এই সিদ্ধান্তে, ইভিএম-এ দেওয়া ভোটের সঙ্গে, VVPAT স্লিপের ১০০ শতাংশ ভোট মেলানোর দাবিতেও ধাক্কা খেয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
EVM VVPAT সংক্রান্ত মামলায় ঠিক কী জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট?
আজ অর্থাত্ শুক্রবার দেশজুড়ে চলছে লোকসভা ভোটের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। তারই মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট ইভিএম ও ভিভিপ্যাট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল। সুপ্রিম কোর্ট এদিন রায়ে জানিয়ে দিয়েছে, ভোটগ্রহণ EVM-এই হবে। ৪৫ দিন পর্যন্ত ভিভিপ্যাটের স্লিপ সুরক্ষিত রাখতে হবে। ওই স্লিপ প্রার্থীর স্বাক্ষর নিয়ে সুরক্ষিত রাখতে হবে। ইভিএম-ভিভিপ্যাট ১০০ শতাংশ মেলানোর প্রয়োজন নেই।
VVPAT আসলে কী?
ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (বিইএল) এবং ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (ইসিআইএল) ২০১৩ সালে VVPAT অর্থাৎ ভোটার ভেরিফাইয়েবল পেপার অডিট ট্রেল মেশিন ডিজাইন করেছিল। এই দুটিই একই সরকারি কোম্পানি, যারা ইভিএম অর্থাৎ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনও তৈরি করে।
২০১৩ সালে নাগাল্যান্ড বিধানসভা নির্বাচনের সময় VVPAT মেশিনগুলি প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল। এরপর ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনেও কিছু আসনে এই মেশিন বসানো হয়েছিল। পরে এগুলি ২০১৭ গোয়া বিধানসভা নির্বাচনেও ব্যবহার করা হয়েছিল।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার সারা দেশে VVPAT মেশিন ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই নির্বাচনে ১৭.৩ লক্ষেরও বেশি VVPAT মেশিন ব্যবহার করা হয়েছিল।
কীভাবে কাজ করে?
ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে VVPAT চালু করা হয়েছিল। এই মেশিনটি ইভিএমের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ভোটার তার ভোট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি স্লিপ জারি করা হয়। এই স্লিপে তিনি যাকে ভোট দিয়েছেন তার নাম ও নির্বাচনী প্রতীক রয়েছে।
এই স্লিপটি ৭ সেকেন্ডের জন্য VVPAT স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে। এটি যাতে ভোটার দেখতে পায় যে তার ভোট সঠিক প্রার্থীর কাছে গেছে। ৭ সেকেন্ড পরে এই স্লিপ VVPAT এর ড্রপ বক্সে পড়ে।