অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানি ড্রোন হামলার সঙ্গে সঙ্গে কিছু স্বল্প দূরত্বের ড্রোন উড়িয়েছিল। ৮ ও ৯ মে রাতে, যখন পাকিস্তান ভারতে ড্রোন হামলা চালায়, তখন ভারতের ভিতর থেকেও ড্রোন ওড়ানো হয়েছিল বলে খবর। ড্রোনগুলি ওড়ানোর পিছনে কারা রয়েছে? তদন্ত করছে নিরাপত্তা সংস্থা। পাকিস্তান-সমর্থিত স্লিপার সেলের কাজ কিনা সন্ধান করছে তারা।
দিন দুয়েক আগে কলকাতাতেও রাতের আকাশে কিছু ড্রোন দেখা গেছে বলে দাবি করে কলকাতা পুলিশ। তারা লালবাজারে খবর দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায়। প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানায়, তাদের কাছে এই সংক্রান্ত খবর এসেছে। তবে তথ্যের সত্যতা যাচাই না করা পর্যন্ত ড্রোন ওড়ার খবরকে মান্যতা দেওয়া হবে না। ইস্টার্ন কমান্ডও এ বিষয়ে তদন্ত করছে।
ভারত সব আক্রমণ নস্যাৎ করে দিয়েছে
অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তান প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ ড্রোন দিয়ে ভারত আক্রমণ করেছিল। যার বেশিরভাগই ভারতীয় সেনাবাহিনী ধ্বংস করে দেয়।
২৬ এপ্রিল থেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তে ড্রোন হামলা মোকাবিলা করছিল। উদ্বেগের বিষয় হল, ভারতে বহিরাগত শত্রুর আক্রমণের সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল কিন্তু দেশের ভিতরে লুকিয়ে থাকা শত্রুদের আক্রমণ ভারতকে অবাক করে দিয়েছে। কারণ পাকিস্তানের ড্রোন হামলার পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তানের স্লিপার সেলগুলিও ড্রোন উড়িয়েছিল। যার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানকে সাহায্য করা।
জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক সীমান্তবর্তী এলাকায় অনেক ড্রোন ওড়ানো হয়েছে
আজ তকের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে সন্ত্রাসবাদীদের স্লিপার সেলগুলি জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক সীমান্তবর্তী এলাকায় ড্রোন উড়িয়েছে। যখন পাকিস্তান সীমান্তের ওপার থেকে আক্রমণ চালাচ্ছিল, তখন ভারতের ভিতর থেকে তাদের স্লিপার সেলগুলি ছোট এবং স্বল্প দূরত্বের ড্রোন উড়িয়েছিল।
পাকিস্তানি স্লিপার সেলগুলি ছোট ড্রোন দিয়ে কী করতে পারত? মনে করা হচ্ছে ছোট ড্রোনের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে, যার সাহায্যে বড় আক্রমণ চালানো হয়। ছোট ড্রোন হামলার মাধ্যমে, পাকিস্তান ভারতের রাডারগুলির অবস্থান খুঁজে বের করে পরবর্তী ড্রোন হামলাকে চিহ্নিত করতে পারত।
এই পরিস্থিতিতে ই-কমার্স কোম্পানিগুলি গত এক মাসে বিক্রি হওয়া ড্রোনের যে তথ্য রয়েছে, এই ধরনের ছোট ড্রোন কারা কিনেছে সে সম্পর্কে তথ্য দিতে সাহায্য করতে পারে।