Advertisement

Pahalgam Attack: কাশ্মীরে জঙ্গি ডেরায় টিফিন বক্সে IED, পুঞ্চে অবাক সেনাকর্তারাও

জঙ্গিদের আস্তানা থেকে উদ্ধার বোমা। সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার সুরানকোটের জঙ্গলঘেরা অঞ্চলে একটি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। আর তার আগে সেই ঘাঁটি থেকে পাঁচটি আইইডি (IED) উদ্ধার হয়।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 05 May 2025,
  • अपडेटेड 11:54 AM IST

জঙ্গিদের আস্তানা থেকে উদ্ধার বোমা। সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার সুরানকোটের জঙ্গলঘেরা অঞ্চলে একটি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। আর তার আগে সেই ঘাঁটি থেকে পাঁচটি আইইডি (IED) উদ্ধার হয়।

সূত্রের খবর, ওই পাঁচটি আইইডির মধ্যে তিনটি ছিল টিফিন বক্সে, বাকি দু'টি রাখা ছিল স্টিলের বালতিতে। এছাড়াও, এই জঙ্গি ঘাঁটি থেকে একাধিক যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আরও কিছু সন্দেহজনক যন্ত্রপাতি উদ্ধার হয়েছে।

ঘটনার পরই গোটা এলাকায় বড়সড় অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। বিভিন্ন জায়গায় সম্ভাব্য জঙ্গি ঘাঁটিতে হানা দিচ্ছে সেনা ও পুলিশ। সন্দেহভাজনদের আটক করে জেরা করা হচ্ছে। বহু জায়গায় পুরনো জঙ্গি শিবির ভেঙে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা।

এই অভিযান শুধুমাত্র পুঞ্চেই সীমাবদ্ধ নয়। জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় একযোগে চলেছে এই জঙ্গি বিরোধী অভিযান। প্রশাসনের বক্তব্য, যারা জঙ্গিদের সহায়তা করছে, তাদের খুঁজে বের করাই এই অভিযানগুলির প্রধান লক্ষ্য। এইভাবে জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া যে সহ্য করা হবে না, তা স্পষ্ট করে দিতেই এই পদক্ষেপ।

২২ এপ্রিল অনন্তনাগ জেলার পাহালগামের কাছে বৈসরানে গুলি চালায় জঙ্গিরা। পর্যটনে আসা মানুষের উপর নির্বিচারে চালানো সেই হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। বেশিরভাগই ছিলেন ভিনরাজ্যের পর্যটক। এই ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের মধ্যে ফের চাপানউতোর শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, এই হামলার পিছনে রয়েছে সীমান্তপারের শক্তিগুলির হাত।

এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'হত্যাকারীদের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তাড়া করে ধরা হবে।'

এই ঘটনার পরই জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে জোর দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর একটাই লক্ষ্য—আর যেন পাহালগাম-কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি না হয়।

এই মুহূর্তে উপত্যকার প্রতিটি কোণায় কোণায় চলছে সশস্ত্র বাহিনীর তল্লাশি ও নজরদারি। সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে এবার কোনওরকম ছাড় দিতে নারাজ প্রশাসন।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement