অমরনাথ যাত্রা শুরুর আগে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গিহানা। সূত্রের খবর, পর্যটকদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। ২৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই হামলায় কিছু ঘোড়াও আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে CRPF-এর অতিরিক্ত কুইক রিঅ্যাকশন টিম (QAT) পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, পর্যটকরা ট্রেকিংয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
UPDATES -
জানা যায়, এই জঙ্গি হামলার জেরে ১২ পর্যটক জখম হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সার্চ অপারেশনও শুরু হয়েছে। আশপাশে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। জখমদের একাধিক জন স্থানীয় বাসিন্দা। বাকিরা পর্যটক।
এই ঘটনা নিয়ে সেনার এক প্রাক্তন আধিকারিক জানান, পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার খবর উদ্বেগজনক। অমরনাথ যাত্রাও কিছুদিনের মধ্যে শুরু হবে। গ্রীষ্মকালে কাশ্মীরে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে। গরমে সন্ত্রাসবাদী হামলা সেভাবে হয় না। কারণ এর প্রভাব পড়বে স্থানীয় মানুষের ব্যবসায়। এই পর্যটকরা পাহাড়ের চূড়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সব জায়গায় পুলিশ পৌঁছতে পারে না। সন্ত্রাসবাদীরা সেই সুযোগ পেয়ে পর্যটকদের টার্গেট করে।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ২ থেকে ৩ জন এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। সেই সময় পর্যটকরা ঘোড়ায় চড়েছিলেন। দুপুর আড়াইটে নাগাদ এই হামলা হয়।
এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন মেহবুব মুফতি। তিনি বলেন, এই হামলার নিন্দা করছি। জখমদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। এই হামলার নিন্দা করার ভাষা নেই।
এদিকে এই জঙ্গি হামলার পর এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। সেনাবাহিনীর তরফে সবাইকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে জঙ্গি হামলার প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। অনেকে দোকানপাঠ বন্ধ করে দিয়েছেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা করে ট্যুইট করেন। লেখেন, 'এই হামলার জেরে আমি হতবাক। আমাদের পর্যটকদের উপর এই হামলা জঘন্য অপরাধ। হামলাকারীরা নিন্দারও অযোগ্য। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। জখমদের জন্য সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি অবিলম্বে শ্রীনগরে ফিরে আসব।'