Advertisement

Lakhvi In Pakistan: নাম-হুলিয়া বদলে লাহোরে লখভি, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য আদৌ 'নিরাপদ' পাকিস্তান?

কয়েক মাস পরে পাকিস্তানে আয়োজিত হতে চলেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ভারতীয় ক্রিকেট দল না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানে প্রকাশ্যে ঘুরছে সন্ত্রাসবাদী লখভি।

লখভির ভাইরাল ভিডিও
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 15 Nov 2024,
  • अपडेटेड 8:03 PM IST

কয়েক মাস পরে লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেই  রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরের রাস্তায় অবাধে ঘুরছে জাকি-উর-রহমান লখভি। মুম্বই হামলার মূল চক্রী লখভিকে জেলে পাঠিয়েছিল পাকিস্তানের আদালত। সেই লখভি এখন বহাল তবিয়তে। তাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)। ওই সন্ত্রাসবাদী হুলিয়া আর নাম বদলে ফেলেছে। তার নাম এখন আবু ওয়াসি।

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ডেভিড হেডলিকে গ্রেফতার করেছিল  এফবিআই। জেরায় হেডলি স্বীকার করেছিল,সে আর লস্কর-ই-তৈবার প্রধান সামরিক কমান্ডার জাকি-উর-রহমান লখভি মিলে মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলা চালিয়েছিল। মুম্বই হামলায় শহিদ হন ১৭৫ জন। ডেভিড হেডলি আমেরিকার ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির (DEA) এজেন্ট ছিল।

 ইসলামাবাদের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজের (NUML)ইসলামিক চিন্তা ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সইদকে প্রকাশ্যে লখভিকে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছিল। দু'জনেই ফিটনেস প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছিলেন। একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, দাড়িওয়ালা জনৈক ব্যক্তি শারীরিক কসরত করছে। এই ব্যক্তিই লখভি। ইন্ডিয়া টুডে ওপেন সোর্স ইনভেস্টিগেশন টিম (OSINT) তিনটি মুখাবয়ব মিলিয়েছে। তাতে স্পষ্ট, ওই ব্যক্তি লখভিই। 

লখভির মুখাবয়বে মিল।

এই ভিডিও জায়েদ হারিসকেও দেখা গিয়েছে। নিজেকে ইসলামিক শিক্ষাবিদ হিসেবে দাবি করেন জায়েদ। ভিডিওয় মহম্মদ এবং হারিস উভয়কেই লখভির প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে। লস্কর-ই-তৈবাকে সমর্থন করে এমন অ্যাকাউন্টে এই ভিডিওটি প্রথম দেখা গিয়েছে। এই ফিটনেস ট্রেনিং ইভেন্টের আয়োজন করেছিলেন সৈয়দ মহম্মদ নামে এক ব্যক্তি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে মিস্টার পাকিস্তান হিসেবে দাবি করেছেন তাঁরা। সৈয়দ মহম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি দাবি করেছেন, যারা ফিটনেস প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের পরিচয় সম্পর্কে তিনি অবগত নন। 

Advertisement

তিনি আরও দাবি করেছেন,'এই ভিডিওটি কোভিডের সময়। তখন ঘেরাটোপের মধ্যেই ফিটনেস প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই দাবি ভুল। ভিডিওতে সৈয়দ বলছেন,'আমি কখনও ৬৩ বছর বয়সী কাউকে ১৮-১৯ মিনিটে ২১০ বার টানা ব্যায়াম করতে দেখিনি। আমার পেশায় অন্তত কাউকে এমন দেখিনি। 

মার্কিন সরকারের একটি নথি বলছে, লখভির জন্ম ১৯৬০ সালে ৩০ ডিসেম্বর। ২০২৪ সালে তার বয়স হওয়ার কথা ৬৩ বছর। এতে বোঝা যায় ভিডিওটি পুরনো নয়। সৈয়দের দাবি ভুল।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement