বিয়ের পর প্রথম প্রতিক্রিয়া জানালেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'ভালবাসা এবং শুভকামনার জন্য সকলকে ধন্যবাদ!! অনেক কৃতজ্ঞ।' বৃহস্পতিবার দুপুরেই মহুয়ার বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। জার্মানির বার্লিনে তাঁদের চারহাত এক হয়েছে। পাত্র হলেন ওড়িশার পুরীর প্রাক্তন সাংসদ পিনাকী মিশ্র। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রায় চুপি চুপিই বিয়ে সেরেছেন মহুয়া। দল এই বিষয়ে কিছু জানত না। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৬৫ বছরের পিনাকী এবং ৫১ বছরের মহুয়া দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় বিবাহ। পিনাকী মিশ্র বিজু জনতা দলের প্রাক্তন সাংসদ। তিনি পুরী থেকে লোকসভার সাংসদ ছিলেন। ১৯৯৬ সালে প্রথম কংগ্রেসের টিকিটেই সাংসদ হয়েছিলেন পুরী থেকে। পরে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজু জনতা দলে যোগ দেন। বিজেডি টিকিটে লড়ে ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে পুরী থেকে জিতেছিলেন পেশায় আইনজীবী পিনাকী। যদিও গত লোকসভা ভোটে তাঁকে টিকিট দেয়নি বিজেডি।
রাজনীতিতে গুঞ্জন রয়েছে, মহুয়ার সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই বিতর্ক এড়াতে পিনাকীকে ২০২৪ সালে প্রার্থী করেনি বিজেডি। পিনাকী প্রথম বিয়ে করেন সঙ্গীতা মিশ্রকে। তাঁদের এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে। বেশ কয়েক বছর হল পিনাকী এবং সঙ্গীতার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।
অন্যদিকে মহুয়া মৈত্র এর আগে ডেনিশ ফিনান্সার লার্স ব্রর্সনকে বিয়ে করেছিলেন। যদিও পরে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। জানা যায়, মহুয়া এরপর তিন বছর ধরে অ্যাডভোকেট জয় অনন্ত দেহাদ্রাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। পরে তাঁদের মধ্যেই সম্পর্ক ভেঙে যায়।