বিজেপির নতুন সভাপতি কে হবেন, এই নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই নানা জল্পনা চলছে। জেপি নাড্ডার পর বিজেপি কাকে সভাপতি বাছবে, সে নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজনীতির অলিন্দে। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি সভাপতি নির্বাচনও আলোচনায় রয়েছে। সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষ বা মে মাসের শুরুতেই নতুন সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হতে পারে।
সূত্রের দাবি, বিজেপিতে নতুন সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া তৎপরতার সঙ্গে করা হচ্ছে। সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি নড্ডা। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক ও ওড়িশার নতুন সভাপতির নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিজেপিতে জাতীয় সভাপতি নির্বাচনের জন্য ১৯টি রাজ্যে নির্বাচন প্রয়োজন। ওই রাজ্যগুলিতে সভাপতি নির্বাচন করতে হবে। সূত্রের খবর, এ মাসের শেষ বা মে মাসের শুরুতে নতুন সভাপতি বাছাইয়ের নির্বাচন হতে পারে। তারপরেই ঘোষণা করা হতে পারে নতুন নাম।
এর আগে, বিজেপির এক শীর্ষ নেতাকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, ফেব্রুয়ারির শেষেই নাড্ডার উত্তরসূরি বাছা হতে পারে। এক নেতা জানিয়েছিলেন, 'আশা করছি, নতুন বিজেপি সভাপতি ফেব্রুয়ারির শেষেই দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।' তবে ফেব্রুয়ারি পার হয়ে এপ্রিল হয়ে গিয়েছে। এখনও বিজেপির সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে তৃতীয় মোদী সরকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করা হয়েছে নাড্ডাকে। পাশাপাশি, তিনি বিজেপি সভাপতির দায়িত্বও সামলাচ্ছেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতেই নাড্ডাকে সভাপতি করা হয়েছিল। সভাপতি পদে মেয়াদ ৩ বছরের। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সেই সময়সীমা নাড্ডার ক্ষেত্রে বাড়ানো হয়েছে। এবার নতুন বছরে নাড্ডাকে বিজেপি সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।
অন্য দিকে, বাংলায় বিজেপির সভাপতি পদে রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদ হয়েছেন সুকান্ত। এবার তাঁকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। মেয়াদ শেষ হলে সুকান্তের জায়গায় অন্য কাউকে আনা হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে সুকান্তকেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে।