Advertisement

Dangerous Dogs : সন্ত্রাসবাদীদের থেকেও খতরনাক এইসব কুকুর, এক কামড়়ে মেরে ফেলছে মানুষ

গত কয়েক বছরে এমন অনেক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে যা হাড়হিম করা। সেই সব ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কুকুর আর প্রভুভক্ত থাকেনি। শোনেনি মনিবের কথা। তাদের টার্গেট হয়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নারী।

দেশের নানা জায়গায় কুকুরের অত্য়াচারে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 10 Oct 2023,
  • अपडेटेड 3:39 PM IST
  • কুকুরকে মানুষের সবচেয়ে অনুগত সঙ্গী হিসাবে বিবেচনা করা হয়
  • তবে সেই কুকুরই এখন হয়ে উঠছে খতরনাক

কুকুরকে মানুষের সবচেয়ে অনুগত সঙ্গী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এমন উদাহরণও অনেক আছে যেখানে দেখা গেছে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মনিবকে বাঁচিয়েছে সেই পোষ্য। ঠিক সেই কারণেই বেশিরভাগ মানুষ কুকুরকেই পোষ্য হিসেবে পছন্দ করেন। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কুকুরের স্বভাবেরও পরিবর্তন হচ্ছে। গত কয়েক বছরে এমন অনেক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে যা হাড়হিম করা। সেই সব ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কুকুর আর প্রভুভক্ত থাকেনি। শোনেনি মনিবের কথা। তাদের টার্গেট হয়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নারী। 

সর্বশেষ ঘটনাটি নয়ডার সেক্টর ৫৩-এর। নয়ডার সেক্টর ২৪ থানা এলাকার গিঝোদ গ্রামের বাসিন্দা নরেন্দ্র শর্মা তার পোষা কুকুরকে নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। পাকিস্তানি পিট বুল প্রজাতির কুকুরটি হেঁটেই ঘুরছিল। সেই সময় রাস্তার একটি কুকুরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই পিটবুলটি। নরেন্দ্র চেষ্টা করতে থাকেন, পিটবুলটিকে নিরস্ত করতে। কিন্তু পিটবুল তাকে ছাড়েনি। এই দেখে সেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক মহিলা ভয়ে চিৎকার শুরু করেন। 

আবার কয়েকমাস আগে গাজিয়াবাদের জয়নগর থানা এলাকার চরণ সিং কলোনিতে এক শিশুকে কুকুরে কামড়ায়। বাড়িতে বকাঝকা খাওয়ার ভয়ে সেই শিশুটি পরিবারের সদস্যদের কিছু জানাইনি। কিন্তু, কিছু দিন পর তার ভেতরে অদ্ভুত পরিবর্তন ঘটতে থাকে। সে অদ্ভুত সব কাজ করতে থাকে। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। জল দেখলেই ভয় পেতে থাকে। কখনও কখনও কুকুরের মতো শব্দও করতে থাকে। এসব দেখে পরিবারের সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তখন শিশুটিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে শিশুটি মারা যায়। 

সমীক্ষায় প্রকাশ, কুকুরের কামড়ে ভারতে প্রতি বছর ২০ হাজার মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে মৃত্যুর প্রধান কারণ জলাতঙ্ক। ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক গত বছর সংসদে জানিয়েছিল, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে মানুষের উপর কুকুরের আক্রমণের মোট সংখ্যা। ২০১৯ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৭২ লাখ ৭৭ হাজার ৫২৩টি। ২০২০ সালে ৪৬ লাখ ৩৩ হাজার ৪৯৩টি। ২০২১ সালে ১৭ লাখ ১ হাজার ১৩৩টি এবং ২০২২ সালে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৬৬৬টি। আমাদের দেশে পথ-কুকুরের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন কোটি। যেখানে পোষা কুকুর রয়েছে ১ কোটি। তাদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। 

Advertisement

যে কোনও দেশে সন্ত্রাসবাদী হামলাকে সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। ভারতেও অনেক বড় বড় হামলা হয়েছে, যাতে শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আমাদের দেশে নকশাল হামলাও হয়েছে। তাতে নিহত মানুষের সংখ্যা এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। যদি শুধু সন্ত্রাসবাদী হামলার কথা বলা হয়, তাহলে দেখা যাবে, সন্ত্রাসী হামলার থেকেও কুকুরের কামড়ে মৃতের সংখ্ আমাদের দেশে অনেক বেশি। 

উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা মুম্বইয়ের কথা বলি, ১৯৯৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত, ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ কুকুরের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। যার মধ্যে মারা যান ৪২৯ জন। অন্যদিকে, ১৯৯৩ সালের ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২৫৭ জন নিহত এবং ৭১৭ জন শহিদ হন। যেখানে ২৬/১১ সন্ত্রাসী হামলায় ১৬৪ জন নিহত এবং ৩০৮ জন আহত হয়। এইভাবে, সন্ত্রাসবাদী হামলায় মোট ৪২১ জন মারা গেছে। সেখানে ৪২৯ জন মারা গিয়েছেন কুকুরের কামড়ে। 


২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকার অবিলম্বে আমেরিকান পিট বুল টেরিয়ার, ডোগো আর্জেন্টিনো, রটওয়েলার, নেপোলিটান মাস্টিফ, বোয়েরবোয়েল, প্রেসা ক্যানারিও, উলফ ডগ, ব্যান্ডগ, আমেরিকান বুলডগ, ফিলা ব্রাজিলিয়ানো এবং ক্যান করসোর প্রজনন নিষিদ্ধ করে। অনেক শহরেই মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন নিজেদের মতো করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। উদাহরণস্বরূপ, গাজিয়াবাদ শহরে পিট বুল, ডোগো আর্জেন্টিনো এবং রটওয়েলার জাতের কুকুর পালনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আদেশের সময়, যাদের কাছে এই জাতের কুকুর ছিল তাদের জীবাণুমুক্ত করা এবং কর্পোরেশনে নিবন্ধিত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এরপর তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement