ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পর জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি চালাচ্ছে পাকিস্তান। এখনও পর্যন্ত ৪ শিশু, ১ সেনা জওয়ান-সহ কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ৫৯ জন আহত হয়েছেন। সীমান্ত লাগোয়া বহু ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকের বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে ভারত মিসাইল হামলা চালিয়েছে। এরপরেই পাকিস্তানি বাহিনীর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ব্যাপক গুলি বর্ষণ করছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সমানভাবে গোলাগুলির জবাব দিচ্ছে। পাকিস্তানের নির্বিচারে গোলাবর্ষণে বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
কয়েকশো বাসিন্দা ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন অথবা নিরাপদ স্থানে সরে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুঞ্চ জেলা, যেখানে ১৩ জনের মৃত্যু এবং ৪২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। জম্মু অঞ্চলের রাজৌরি এবং উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা ও কুপওয়ারাতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পাকিস্তানি সেনার গোলাবর্ষণে জখম হয়ে ভারতীয় সেনার এক জওয়ান শহিদ হয়েছেন। ওই সেনার নাম ল্যান্স নায়েক দীনেশ কুমার। তিনি ৫ ফিল্ড রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন।
পুঞ্চে সীমান্তের ওপার থেকে গোলাবর্ষণ গতকাল দুপুর পর্যন্ত তীব্র ছিল। পরে কয়েক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। পরে আবারও গোলাবর্ষণ শুরু হয়। ভারী গোলাবর্ষণের কারণে স্থানীয়রা আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েন। কারণ পুঞ্চ বাস স্ট্যান্ডেও আঘাত হানে গোলা। তাতে বেশ কয়েকটি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বারামুল্লা জেলার উরি সেক্টরে ১০ জন, রাজৌরি জেলায় আরও ৩ জন আহত হয়েছেন বলে সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন।