মন্দিরে পুজো করতে গিয়েছিল স্বামী। ঠিক তখন তাঁর স্ত্রী-কে হত্যা করা হল ঘরেরই ভিতর। কেরলের তিরুবনন্তপুরমের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই যুবতীর নাম আথিরা। পুলিশের প্রাথমিকভাবে অনুমান, ওই যুবতীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকই খুন করেছে।
আথিরা তাঁর স্বামী ও আট বছরের এক সন্তানের সঙ্গে তিরুবনন্তপুরমের একটি বাড়িতে থাকতেন। তাঁর স্বামী মন্দিরের পুরোহিতের কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো তিনি মঙ্গলবার ভোর ৫ টা নাগাদ চলে যান মন্দিরে। তারপর সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ আসে সেই বাড়িতে। আসে ফরেন্সিক টিমও। দেখা যায় গলাকাটা অবস্থায় ঘরে পড়ে রয়েছে আথিয়ার দেহ। গোটা ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। এক তদন্তকারী জানান, আততায়ী ওই যুবতীক গলার পাশে ছুরি ঢুকিয়ে খুন করে। মনে করা হচ্ছে, ভোর পাঁচটা নাগাদ আথিয়ার স্বামী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে আসে আততায়ী। আথিয়ার সঙ্গে কিছুটা সময় কাটায়। তারপর খুন করে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, এরনাকুলামের এক ব্যক্তি এই খুনের সঙ্গে জড়িত। সেই যুবকের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল আথিয়ার। দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ছিল। সেই যুবক হ.তো মাঝে মাঝেই আথিয়ার সঙ্গে দেখা করতে আসত। তবে সম্প্রতি দুজনের কোনও বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আর তারপরই খুনের ঘটনা।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, আথিরাকে খুনের পর তাঁর স্কুটার নিয়ে পালিয়ে যায় আততায়ী। সেখানে কোনও সিসিটিভি না থাকায় নিশ্চিতভাবে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না।