উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটে এনকাউন্টারে খতম ৩ খালিস্তানি জঙ্গি। পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের যৌথ অভিযানে জঙ্গিরা মারা পড়ে। নিহতেদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দুটি একে ৪৭ এবং দুটি গ্লক পিস্তল।
পুলিশ জানিয়েছে, এই সন্ত্রাসবাদীরা পঞ্জাবের গুরুদাসপুরে পুলিশ পোস্টে গ্রেনেড এবং বোমা ছুড়েছিল। তারপর থেকেই পুলিশ তাদের খুঁজছিল। গোপন সূত্রে পুলিশ কবর পায়, উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটে রয়েছে জঙ্গিরা। তারপর সেখানে হানা দেয় তদন্তকারীরা। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় জঙ্গিদের। এনকাউন্টারে পুলিশের হাতে নিহত জঙ্গিদের নাম গুরবিন্দর সিং, বীরেন্দ্র সিং এবং জসানপ্রীত সিং।
এদিনের এনকাউন্টারে অনেক ছবি সামনে এসেছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সন্ত্রাসবাদীরা পুলিশের গাড়িতেও গুলি চালিয়েছে। গাড়িতে বুলেটের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে একটি বাইকও উদ্ধার করা হয়েছে।
এই জঙ্গিদের পুলিশ খুঁজছিল গত ১৭ ডিসেম্বরের পর থেকেই। সেদিন পঞ্জাবের গুরুদাসপুরের সীমান্ত শহর কালানৌর থানার বকশিওয়ালে একটি গ্রেনেড হামলা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এর দায় নেয় খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গ্রেনেড হামলার জন্য সন্ত্রাসবাদীরা একটি অটো ভাড়া করেছিল। পুলিশ সেই অটোকে বাজেয়াপ্ত করে। ফরেনসিক দলও তদন্ত করে জানতে পারে, গ্রেনেড নিক্ষেপের জন্য একটি অটো ব্যবহার করা হয়েছিল।
এক সিনিয়ার পুলিশ অফিসার এই এনকাউন্টার নিয়ে বলেন, 'কোনও প্ররোচনা ছাড়া পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। তখন পুলিশও পাল্টা দেয়। পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ যৌথভাবে এই অভিযান চালায়। এই জঙ্গিদের পিছনে বিদেশি কোনও শক্তির মদত ছিল। এদের পুলিশ অনেকদিন ধরেই খুঁজছিল।'
প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই পঞ্জাব পুলিশের একাধিক ঘাঁটিতে বারবার জঙ্গি হামলা হচ্ছে। এর নেপথ্যে খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠন রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাদের ধরতে উঠেপড়ে লেগেছে পুলিশ। এবার সাফল্যও পেল তারা।