প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রকল্প টাইগারের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করেন এবং 'ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্স' (আইবিসিএ) চালু করেন। এই আইবিসিএ-র অন্তর্ভুক্ত দেশ যেখানে 'মারজার' প্রজাতির সাতটি প্রাণী - বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ, স্নো লেপার্ড, পুমা, জাগুয়ার এবং চিতা পাওয়া যায়। এই সংস্থা এই প্রাণীদের সংরক্ষণ এবং সুরক্ষার উপর জোর দেবে। এর সাথেই বাঘের সংখ্যার নতুন পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এ হিসাবে ২০২২ সালে দেশে বাঘের সংখ্যা ছিল ৩১৬৭টি। গত 4 বছরে 200টি বাঘ বেড়েছে। এর আগে 2018 সালে এই সংখ্যা ছিল 2967। আমরা আপনাকে বলে রাখি যে বাঘের সংখ্যার তথ্য শুধুমাত্র প্রতি চার বছরের ব্যবধানে প্রকাশ করা হয়।
এই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, আমরা সবাই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক প্রত্যক্ষ করছি, প্রজেক্ট টাইগারের ৫০ বছর। ভারত শুধু বাঘকে রক্ষা করেনি বরং এটিকে উন্নতির জন্য সেরা বাস্তুতন্ত্রও দিয়েছে। প্রজেক্ট টাইগার বড় বিড়ালদের সুরক্ষা ও সংরক্ষণের পথ তৈরি করে। প্রকৃতি রক্ষা ভারতীয় সংস্কৃতির একটি অংশ। প্রজেক্ট টাইগারের সাফল্য শুধু ভারতের জন্যই নয়, গোটা বিশ্বের জন্য গর্বের বিষয়। ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে; এবং এছাড়াও, বিশ্বের বাঘের জনসংখ্যার ৭৫% বর্তমানে ভারতে রয়েছে।
চিতা ভারত থেকে বিলুপ্ত হয়েছিল
এই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, মানবতার উন্নত ভবিষ্যত তখনই সম্ভব যখন আমাদের পরিবেশ নিরাপদ থাকবে, আমাদের জীববৈচিত্র্য প্রসারিত হতে থাকবে। তিনি বলেন, এই দায়িত্ব আমাদের সকলের, এটা সমগ্র বিশ্বের। আমরা আমাদের G-20 প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন এই চেতনাকে ক্রমাগত উত্সাহিত করছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েক দশক আগে ভারত থেকে চিতা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে আমরা নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এই দুর্দান্ত বিগ ক্যাটটিকে ভারতে নিয়ে এসেছি। এটি একটি বড় বিড়ালের প্রথম সফল ট্রান্স-কন্টিনেন্টাল ট্রান্সলোকেশন। এ ছাড়া পিএম মোদি জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে কুনো ন্যাশনাল পার্কে ৪টি সুন্দর শাবকের জন্ম হয়েছে।
পর্যটন বৃদ্ধি পেয়েছে
এই বিগ ক্যাটের কারণে, টাইগার রিজার্ভে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে এবং এটি স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে। বড় বিড়ালের উপস্থিতি সর্বত্র স্থানীয় জনগণের জীবন ও পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।