Advertisement

Vijay Mallya Nirav Modi Extradition: মালিয়া-নীরবের জন্য তৈরি তিহাড়, ব্রিটিশ এজেন্সিকে 'সুরক্ষা'র গ্যারান্টি দিল ভারত

ভারত থেকে পালিয়ে যাওয়া অর্থনৈতিক অপরাধী এবং পলাতকদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা জোরদার করা হচ্ছে। ব্রিটেনের ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (CPS) এর একটি দল সম্প্রতি তিহার জেল পরিদর্শন করেছে। তথ্য অনুসারে, এই পরিদর্শনটি জুলাই মাসে হয়েছিল, যার মধ্যে ব্রিটেনের পাঁচ সদস্য ছিলেন। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ আদালতকে দেখানো, ভারতে প্রত্যর্পণ করা অভিযুক্তরা তিহার জেলে নিরাপদ এবং উন্নত পরিবেশ পাবে।

জেলের  সুযোগ-সুবিধা পরিদর্শনজেলের সুযোগ-সুবিধা পরিদর্শন
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 06 Sep 2025,
  • अपडेटेड 2:45 PM IST

ভারত থেকে পালিয়ে যাওয়া  অর্থনৈতিক অপরাধী এবং পলাতকদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা জোরদার করা হচ্ছে।  ব্রিটেনের ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (CPS) এর একটি দল সম্প্রতি তিহার জেল পরিদর্শন করেছে। তথ্য অনুসারে, এই পরিদর্শনটি জুলাই মাসে হয়েছিল, যার মধ্যে ব্রিটেনের পাঁচ সদস্য ছিলেন। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ আদালতকে দেখানো, ভারতে প্রত্যর্পণ করা অভিযুক্তরা তিহার জেলে নিরাপদ এবং উন্নত পরিবেশ পাবে।

সম্প্রতি ব্রিটিশ আদালত তিহার জেলের অবস্থা সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি মামলায় ভারতের প্রত্যর্পণের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এই কারণে, ভারত সরকার ব্রিটেনকে আশ্বস্ত করেছে, কারাগারে কোনও অভিযুক্তকে মারধর করা হবে না এবং তাদের অবৈধ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না। 

জেলের  সুযোগ-সুবিধা পরিদর্শন
CPS টিম তিহারের  হাই-সিকিউরিটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছে এবং সেখানে বন্দিদের সঙ্গেও  মতবিনিময় করে। জেল আধিকারিকরা  এই টিমকে  আশ্বস্ত করেছেন, যে প্রয়োজনে জেল চত্বরে একটি বিশেষ 'এনক্লেভ' তৈরি করা হবে যেখানে বিজয় মালিয়া, নীরব মোদীর মতো হাই-প্রোফাইল অভিযুক্তরা নিরাপদে থাকতে পারবেন।  

প্রত্যর্পণ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
ভারতের ১৭৮টি প্রত্যর্পণের আবেদন বিদেশে বিচারাধীন রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ২০টি কেবল ব্রিটেনেই আটকে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী, অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারী এবং অনেক খালিস্তানি নেতার নাম। ভারত সরকার এই মামলাগুলি নিয়ে ব্রিটেনের সঙ্গে  ক্রমাগত সমন্বয় করে চলেছে।

ভারত অশ্বস্ত করেছে
এই পুরো প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্য হল ব্রিটিশ আদালতগুলিকে আশ্বস্ত করা, ভারত মানবাধিকার অনুসারে প্রত্যর্পণ করা  অভিযুক্তদের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে। সরকার স্পষ্টভাবে বলেছে যে কারাগারে বন্দিদের সঙ্গে  কোনও অবৈধ আচরণ করা হবে না।

বিজয় মালিয়া এবং নীরব মোদীর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে?
বিজয় মালিয়া এবং নীরব মোদীর বিরুদ্ধে ভারতে জালিয়াতি, অর্থ পাচার এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। উভয়ই ব্যাঙ্ক  ঋণ খেলাপি মামলায় জড়িত এবং অভিযোগ আনার আগেই ব্রিটেনে পালিয়ে যায়। ভারতীয় আদালত তাদের 'পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী' ঘোষণা করেছে। বিজয় মাল্যর মামলাটি কিংফিশার এয়ারলাইন্সের পতনের সঙ্গে  সম্পর্কিত, যা ভারতীয় ব্যাঙ্ক  থেকে নেওয়া প্রায় ৯,০০০ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করেনি। তদন্তে অভিযোগ করা হয়েছে যে তিনি ঋণের টাকা অন্যত্র ব্যয় করেছেন এবং সংগৃহীত পরিষেবা করও পরিশোধ করেননি। ২০২০ সালে, যুক্তরাজ্যের একটি আদালত তার প্রত্যর্পণ অনুমোদন করে, কিন্তু গোপনীয় আইনি প্রক্রিয়ার কারণে তাকে এখনও ভারতে আনা হয়নি। অন্যদিকে নীরব মোদী পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (PNB) কেলেঙ্কারির প্রধান অভিযুক্ত, যেখানে জাল LoU মাধ্যমে প্রায় ১৪,০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল। ২০১৯ সালে লন্ডনে গ্রেফতারের পর, ব্রিটেনের  একটি আদালত ২০২১ সালে তার প্রত্যর্পণ অনুমোদন করে। তবে, তার আপিল ক্রমাগত প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং তিনি ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত ব্রিটেনে  কারাগারে রয়েছেন।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement