পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পরেই বিজেপিকে রুখতে জাতীয়স্তরের রাজনীতিতে বাড়তি গুরুত্ব দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রথমেই পাখির চোখ করা হয় ত্রিপুরাকে (Tripura)। দলনেত্রীর নির্দেশে বাংলার প্রতিবেশী এই রাজ্যে সংগঠন মজবুত করার প্রক্রিয়া শুরু করে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ত্রিপুরায় সংগঠনের পায়ের তলার জমি শক্ত করার চেষ্টায় নামে ঘাসফুল শিবির (TMC)। ইতিমধ্যেই বারংবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র ফেরাতে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই চালাবে তৃণমূল। এমনকী আগামী ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিপ্লব দেবের সরকারকে উৎখাত করার ডাকও দিয়েছেন তিনি।
তবে ২০২৩-এর লড়াই তো এখনও দেরি আছে। তার আগে তৃণমূলের সামনে প্রথম চ্যালেঞ্জ হল আগরতলা পুরভোট। বৃহস্পতিবারই আগরতলায় হতে চলেছে পুরনির্বাচন। আগরতলা পুরনিগমে রয়েছে মোট ৫১টি আসন। এই প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, আগরতলা পুরনিগমের ৫১ আসনেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ৫০টি আসনে। তাঁর দাবি, 'মানুষ যদি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে এই ভোটে খাতা খুলতে পারবে না বিজেপি'। তাই নির্বাচনে মানুষকে ঘর থেকে বেরিয়ে নিজের ভোট নিজে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন অভিষেক।
যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবি একেবারেই মানতে রাজি নয় বিজেপি। এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি (BJP) নেতা সায়ন্তন বসুর (Sayantan Basu) পালটা দাবি, 'বিজেপি ওখানে প্রায় ৫০ শতাংশ আসনে জিতেছে, বাকি আসনেও জিতবে। তৃণমূল খাতা খুলতে পারবে না'। তবে এই দাবি-পালটা দাবির মাঝেই বৃহস্পতিবার নিজেদের মতামত দেবেন আগরতলাবাসী (Agartala Municipal Corporation Election 2021)। ফলপ্রকাশ ২৮ নভেম্বর। সেক্ষেত্রে দেখার ২০২৩-এর আগে ত্রিপুরায় এই প্রথম পরীক্ষায় কেমন মার্কস পায় তৃণমূল।