Advertisement

TMC-র 'অন্তর্দ্বন্দ্ব' কি ২০২৪-এর লক্ষ্যে প্রভাব ফেলবে?

বিশিষ্ট সাংবাদিক জয়ন্ত ঘোষাল তাঁর নতুন বই 'মমতা বিয়ন্ড ২০২১'-এ লিখেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন, মিডিয়া সচেতন। তিনি তৃণমূলের ভাবমূর্তি পরিবর্তনের দিকে মনোনিবেশ করেছেন।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 13 Feb 2022,
  • अपडेटेड 5:10 PM IST
  • নতুন বই জয়ন্ত ঘোষালের
  • অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিডিয়া সচেতন বলে ব্যাখ্যা
  • অভিষেক বর্তমান রাজনীতি বোঝেন বলেও মনে করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক

তৃণমূলের (TMC) অন্দরের 'অশান্ত' পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। তারমধ্যে নজরে রয়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনও। সেক্ষেত্রে দলের অন্দরের এই পরিস্থিতি তৃণমূলের ২০২৪-এর লক্ষ্যে কোনও প্রভাব ফেলবে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্য়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কোনও কোনও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের মনে। 

এক্ষেত্রে বিশিষ্ট সাংবাদিক জয়ন্ত ঘোষাল তাঁর নতুন বই 'মমতা বিয়ন্ড ২০২১'-এ লিখেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন, মিডিয়া সচেতন। তিনি তৃণমূলের ভাবমূর্তি পরিবর্তনের দিকে মনোনিবেশ করেছেন। তবে তিনি তীক্ষ্ণ হলেও এটি অবশ্যই উল্লেখ্য যে কলকাতা থেকে দিল্লির দূরত্ব ১,৫৬৪ কিলোমিটারেরও বেশি। আর রাজৈনিতকভাবে তার জন্য অবিজেপি-এনডিএ দলগুলির সঙ্গে জোট প্রয়োজন। 

জয়ন্ত ঘোষাল তাঁর বইতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhsishek Banerjee) যে কলম-চিত্রে এঁকেছেন সেই অনুযায়ী, তিনি কখনোই একজন বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মতো আচরণ করেন না। ২১ জুলাইয়ের সেই দিনে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলা হয় তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়স ছিল মাত্র ৪। এছাড়াও আরও একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরে হামলা হয়েছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরে সেই হামলার ঘটনাগুলি প্রভাব ফেলেছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে। 

বিশিষ্ট সাংবাদিক জয়ন্ত ঘোষালের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের অনেকেই আন্দোলন করেছিলেন, কিন্তু কাউকেই রাজনীতিতে বেছে নেওযা হয়নি। সেক্ষেত্রে মমতা হয়ত অনুভব করেছিলেন যে একমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সুযোগ দেওয়া উচিত। ২০২১-এর নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর আর যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি মানুকে আকর্ষিত করেছিলেন তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমান সময়ের রাজনীতি বোঝেন বলে মনে করেন জয়ন্ত ঘোষালও। 

অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সঙ্গে তাঁর জুটি এবং প্রবীণদের পর্যাপ্ত সম্মান না দেওয়া প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে, সোনালী গুহর উদাহরণ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সাতগাছিয়া থেকে টিকিট না দেওয়ায় দল ছেড়ে যান তিনি। তিনি টিকিট পেলে দল ছেড়ে যেতেন না। প্রার্থীদের বেছে নেওয়ার জন্য একটি বিস্তৃত প্রক্রিয়ার কথাও উল্লেখ করেন অভিষেক। 
 
কিন্তু ২০২৪-এর নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরতে পারবেন? এক্ষেত্রে জয়ন্ত ঘোষালের ব্যাখ্যা, 'তিনি সফল কিনা তা ভবিষ্যত বলবে।'

Advertisement

আরও পড়ুনমাত্র ৫২০ টাকার EMI-তে কিনুন Redmi-র এই ৬৪ MP ক্যামেরার ফোন


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement