Suvendu Adhikary On Tmc And Odisha Rail Accident: ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন। রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। ওড়িশার বালেশ্বরে পৌঁছে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী তিনি কুণাল ঘোষের নাম না করে অভিযোগ করেন, "রেলের কর্তাদের ফোন ট্যাপ করে তা সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে তৃণমূলের নেতারা পোস্ট করছেন। কীভাবে এই টেপ বাইরে এল, তা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।" শুভেন্দুর অভিযোগ, তৃণমূল দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছে। তাঁর কটাক্ষ"তৃণমূল শকুন, তার চোখ ভাগাড়ের দিকে।"
আরও পড়ুনঃ কেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে থামানো গেল না? যা জানাল রেল
এদিন তিনি বালেশ্বরে পৌঁছে জানান, সবাই কাজ করার চেষ্টা করছেন। মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে। অনেকে মারা গিয়েছেন। অনেকের চিকিৎসা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাথমিক কাজ হল মানুষের পাশে থাকা। সেই জায়গায় তৃণমূল ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাজনীতি করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে। তৃণমূলনেত্রী এবং তার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রেলের বিরুদ্ধে বয়ান দিচ্ছেন, ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব দিচ্ছেন। তদন্তের আগেই তাঁরা কীভাব সব জেনে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, "কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানলেন যে সেখানে ডিভাইস আছে কি নেই।" তিনি পুরনো একটি ভিডিও ক্লিপিংসও টুইটারে শেয়ার করেছেন। যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বক্তব্য রয়েছে। একটি রেল দুর্ঘটনার পরে তাঁর সংসদে বক্তব্য রয়েছে। তিনি কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা নিয়েও প্রশ্ন করেন, সেই সময় কী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফা দিয়েছিলেন?
পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, আহত ও জখমদের পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসা করানোর জন্য। শুভেন্দুর অভিযোগ, এদের জোর করে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যাবেন না। পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই। শুভেন্দুর অভিযোগ, থাকলে মানুষ হায়দরাবাদ, চেন্নাই, বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসার জন্য যেত না। বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক সামান্য চোখের চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় যান। রাষ্ট্রপতি চিকিৎসা করান সেনা হাসপাতালে আর তৃণমূলের নেতারা যান আমেরিকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে। সাধারণ মানুষের সেই সামর্থ নেই। তাঁদের নিজের মতো ছেড়ে দিন।" তাঁর ক্ষোভ, আপাতত রিলিফ ও চিকিৎসার দিকে মন দিতে দিন। ৪-৫ দিন অন্তত রাজনীতি করবেন না। অনুরোধ তাঁর। এদিন অধীর চৌধুরীরর অভিযোগকেও তিনি কংগ্রেস নেতৃত্বকে খুশি করার জন্য় এই বক্তব্য দিয়েছেন বলে দাবি করেন।
শুভেন্দু এদিন জানান, দুর্ঘটনার পর জগন্নাথ দেবের ভক্তরা প্রাথমিকভাবে প্রচুর মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। এরপর বাকি এজেন্সি ও ওড়িশা সরকারও হাত লাগিয়েছেন। কেন্দ্রীয় দল, বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। দ্রুত পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাউকে রেয়াত করা হবে না। অন্যদিকে কিছু রাজনৈতিক দল জলঘোলা করে চলেছেন।