
লোকসভার অন্দরে তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাংসদের ই-সিগারেট খাওয়ার অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম। BJP সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর এই অভিযোগ তুলে স্পিকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই অভিযোগ ওঠার কয়েক ঘণ্টা পরই সংসদ ভবনের বাইরে মকর দ্বারের সামনে সৌগত রায়কে ধূমপান করতে দেখা যায়। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতে শোরগোল পড়ে যায়। তাঁকে সিগারেট খেতে দেখেন BJP সাংসদ গিরিরাজ সিং।
অনুরাগের অভিযোগ
বৃহস্পতিবার সংসদে ভাষণ রাখার সময়ে অনুরাগ ঠাকুর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে প্রশ্ন করেন, 'সারা দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ। আপনি কি সংসদের ভিতরে ই-সিগারেট সেবন করার অনুমতি দিয়েছেন?' স্পিকার উত্তরে ক্ষুব্ধ হয়ে না বলেন। তখন BJP সাংসদ বলেন, 'তাহলে একজন তৃণমূল সাংসদ গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার ধূমপান করে চলেছেন সংসদের অন্দরে। দয়া করে এটি খতিয়ে দেখুন। সংসদে কি ধূমপান অনুমোদিত?' ওম বিড়লা স্পষ্ট ভাবে বলেন, 'কোনও সাংসদকেই সংসদের অন্দরে ধূমপানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমন কোনও নিয়ম বা নজির লোকসভায় নেই। যদি এই ধরনের কোনও ঘটনা আমার নজরে আসে তবে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।' লোকসভার সিসিটিভি ফুটেজও তলব করেছেন তিনি।
সৌগত-গিরিরাজের কথোপকথন
কিছুক্ষণের মধ্যে সেদিন লোকসভা অধিবেশনের ব্রেকে তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়কে মকর দ্বারের সামনে ধূমপান করতে দেখা যায়। BJP-র গিরিরাজ সিং তাঁকে দেখে ফেলেন। হাত ধরে অনুরোধ করে বলেন, 'দাদা, দয়া করা সিগারেট খাবেন না। আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে এটা ক্ষতিকারক।' যদিও সংসদে বসে তিনিই ই-সিগারেট খাচ্ছিলেন, এমন কোনও কথা গিরিরাজ সিং বলেননি। তবে মজার ছলে বলেছিলেন, 'দাদা চুরিও খোলাখুলি করেন, ধূমপানও খোলাখুলি করেন।'
কে খাচ্ছিলেন ই-সিগারেট?
সাংসদ সৌগত রায়কে প্রশ্ন করা হয়, সংসদের অন্দরে তিনিই ই-সিগারেট সেবন করছিলেন কি না। উত্তরে তিনি স্পষ্ট বলেন, 'না। কে খেয়েছে আমি বলতে পারব না। তবে স্পিকার যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। সংসদের ভিতরে ধূমপান করার অনুমতি নেই ঠিকই তবে বাইরের চত্বরে রয়েছে।'
সূত্রের খবর, তৃণমূলের সাংসদ কীর্তি আজাদ সম্ভবত ই-সিগারেট সেবন করছিলেন লোকসভার অন্দরে। যদিও কোনও পক্ষ থেকেই এই নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। কীর্তি আজাদকে প্রশ্ন করা হলে বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ বলেন, 'কেউ অভিযোগ করলেই সেটা সত্যি হয়ে যায় না। কেউ ধূমপান করেননি। কাউকে যদি ধর্ষক বলা হয়, সেটা প্রমাণ হয়ে যায়? তৃণমূলকে অপমান করতে এসব মিথ্যে অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে।'