প্রথমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন। গতকাল এভাবেই স্পিকার পদপ্রার্থী নিয়ে তৃণমূলের রাগ মেটান রাহুল গান্ধী। আর তারপরেই কংগ্রেস সাংসদ কে সুরেশকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস।
'একতরফা সিদ্ধান্তে' কে সুরেশকে INDIA জোটের স্পিকার পদপ্রার্থী করা হয়েছে। এমনই দাবি করে প্রকাশ্যে অভিযোগ তোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই মঙ্গলবার লোকসভায় অভিষেককে পাশে বসিয়ে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে কথা বলেন রাহুল। বেরিয়ে ফোন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
সূত্রের খবর, ঠিক কোন পরিস্থিতিতে তাঁদের দ্রুত এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল, সেটাই অভিষেক-মমতাকে বাখ্যা করেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের এভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন, তৃণমূলের অভিমান ভাঙানোর চেষ্টাকে রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রাহুলের আশ্বাসের পরেই গতকাল সন্ধ্যায় তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েন এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে INDIA জোটের বৈঠকে যান। সেখানেও এই নিয়ে আলোচনা হয়। তারপরেই TMC তার সমস্ত লোকসভা সাংসদদের সকাল ১০:৪০-এর মধ্যে পুরানো পার্লামেন্ট বিল্ডিংয়ে জড়ো হওয়ার জন্য হুইপ জারি করে।
ইতিমধ্যেই সূত্রের খবর, কে সুরেশকেই সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এই বিষয়ে বুধবার এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কে সুরেশ জানান, ''গতকাল সন্ধ্যায় সবকিছু মিটে গিয়েছে। ওঁদের নেতারা - ডেরেক ও'ব্রায়েন এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় - গতকাল সন্ধ্যায় মল্লিকার্জুন খার্গের বাসভবনে INDIA জোটের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।আমরা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছি। ওঁরা পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছেন এবং আমাদের সহযোগিতা করবেন।'
উল্লেখ্য, গতকাল লোকসভায় সাংসদ হিসাবে তৃণমূলের একাধিক মুখ শপথ গ্রহণ করলেও ছিলেন না দেব। পারিবারিক অনুষ্ঠানের কারণেই তিনি যেতে পারেননি বলে জানান। তবে আজ, বুধবার তাঁকে সকাল ১১টার মধ্যে শপথ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্পিকার নির্বাচনে যাতে তিনি অংশ নিতে পারেন, সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত।