দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর আগে আম আদমি পার্টি (AAP) তাদের জোটসঙ্গী সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) সাহায্যে একটি সুপরিকল্পিত সামাজিক কৌশল নিয়েছে। এই কৌশলের মাধ্যমে AAP বিভিন্ন সম্প্রদায়ভিত্তিক ভোটারদের সমর্থন নিশ্চিত করতে চায়।
বাঙালি ভোটারদের টার্গেট তৃণমূলের:
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র করোলবাগে একটি পথসভা করেছেন, যেখানে তিনি দিল্লিতে বসবাসরত বাঙালি অভিবাসীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। তাঁর বক্তব্যে বাংলা ও হিন্দির মিশ্রণ ছিল, যা বাঙালি ভোটারদের AAP-এর পক্ষে আকৃষ্ট করার প্রচেষ্টা। এছাড়া, তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা পূর্ব দিল্লির প্রচারে অংশ নিচ্ছেন।
মুসলিম ভোটারদের টানতে সপা:
সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বিজেপি-বিরোধী ভোটারদের AAP-কে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছেন। দিল্লির মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় এসপি সাংসদ ইকরা হাসান প্রচার চালাচ্ছেন। আগামী দিনে আরও এসপি সাংসদরা মুসলিম প্রধান এলাকায় প্রচারে অংশ নেবেন।
কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও AAP-এর কৌশল:
কংগ্রেস দলও দিল্লির মুসলিম অধ্যুষিত আসনগুলিতে প্রচার জোরদার করেছে। রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র সংখ্যালঘু ভোটারদের লক্ষ্য করে সমাবেশ করেছেন। এ পরিস্থিতিতে, AAP সপার-র মাধ্যমে মুসলিম ভোটারদের একত্রিত করে বিজেপি-বিরোধী ভোট বিভাজন রোধের চেষ্টা করছে।
বিজেপির চেষ্টা:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রায় ৩০ বছর পর দিল্লির নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। তারা দরিদ্র নারী, গর্ভবতী নারী, প্রবীণ নাগরিক এবং অনগ্রসর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তবে, AAP-এর বিদ্যমান বিনামূল্যের জল ও বিদ্যুৎ কর্মসূচি তাদের প্রধান ভোটব্যাংককে ধরে রেখেছে।
জনমত সমীক্ষা ও পূর্বাভাস:
মতামত জরিপে দেখা গেছে, AAP ক্ষমতায় থাকতে পারে, যেখানে প্রায় অর্ধেক ভোটার সরকার পরিবর্তন না করার পক্ষে। তৃণমূল কংগ্রেসের দেবাংশু ভট্টাচার্যও তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে AAP-এর জয়ের পূর্বাভাস দিয়েছেন।