
বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের প্রতিবাদ করে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে প্রাণ গেল ত্রিপুরার এমবিএ পড়ুয়ার। গত ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অ্যাঞ্জেল চাকমা নামে ওই পড়ুয়াকে রড ও ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে কিছু স্থানীয় যুবক। ঘটনায় মারাত্মক জখম হওয়ার পর গত শুক্রবার মৃত্যু হয় অ্যাঞ্জেলের। খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত গত ৯ ডিসেম্বর। ওই দিন দেরাদুনের সেলাকুই এলাকার একটি মদের দোকানে সামনে অ্যাঞ্জেল চাকমা ও তাঁর ভাই মাইকেল চাকমা কয়েকটি জিনিস কিনতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ সেখানে কয়েক জন মদ্যপ বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেন। তার প্রতিবাদ করলে ধারালো ছুরি দিয়ে কোপানো ছাড়াও রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় অ্যাঞ্জেলকে।
দাদাকে বাঁচাতে এলে আহত হন মাইকেলও। আহত অবস্থায় দুজনকেই স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শুক্রবার ভোররাতে মৃত্যু হয় অ্যাঞ্জেলের।
শনিবার অ্যাঞ্জেলের দেহ আগরতলায় নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং দেরাদুনের ছাত্র মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উত্তরাখণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলা ও খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নাম, অবিনাশ নেগী, সূর্য রাজপুত, সুরজ খাউয়াস, আয়ুশ বাদুনি, সুমিত। যশ নামে এক অভিযুক্ত ফেরার। তাকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
অন্যদিকে, মৃতের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, অ্যাঞ্জেলের বাবা বিএসএফ কর্মী। পরিবারের লোকজন দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনও ওই হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ করেছে।