Advertisement

‘সত্য সামনে আসবেই’, গুজরাত হিংসা নিয়ে তথ্যচিত্রে কেন্দ্রের সক্রিয়তায় কটাক্ষ রাহুলের

গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে বিবিসি-র তৈরি তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’-এর প্রদর্শন ও সম্প্রচার বন্ধ চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সোমবার কেন্দ্রের এই তৎপরতা নিয়ে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

রাহুল গান্ধী।রাহুল গান্ধী।
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 24 Jan 2023,
  • अपडेटेड 7:43 PM IST
  • অভিযোগ উঠছে, গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে বিবিসি-র তৈরি তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’-এর প্রদর্শন ও সম্প্রচার বন্ধ চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
  • সোমবার কেন্দ্রের এই তৎপরতা নিয়ে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

অভিযোগ উঠছে, গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে বিবিসি-র তৈরি তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’-এর প্রদর্শন ও সম্প্রচার বন্ধ চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সোমবার কেন্দ্রের এই তৎপরতা নিয়ে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত জোড়ো যাত্রার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা, দমন এবং ভীতি প্রদর্শন করে সত্য প্রকাশে বাধা দেওয়া যাবে না। সত্য সামনে আসবেই। এটা অসহিষ্ণুতার রাজনীতি। সত্যকে আড়াল করা যায় না। সত্য উজ্জ্বল হয়। আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশে রয়েছি। আপনি যতই সত্য গোপন করুন না কেন, তা জয়ী হবে।

ভারত যুক্তরাজ্যের অফিসিয়াল ব্রডকাস্টার সিরিজটিকে বাতিল করেছে। ডকুমেন্টারিটিকে পক্ষপাতদুষ্ট এবং উদ্দেশ্যহীন বলে অভিহিত করেছে। বিরোধীরা তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে সিরিজের লিঙ্ক পোস্ট করে সিরিজের স্ক্রীনিং নিষিদ্ধ করার কেন্দ্রের পদক্ষেপকে 'সেন্সরশিপ আরোপ' বলে অভিহিত করেছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় মোদীর ‘ভূমিকা’ তুলে ধরার কারণেই কেন্দ্রের কোপে পড়েছে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’। রাহুল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সত্য উজ্জ্বল হয়। এর একটি খারাপ অভ্যাস আছে, সব সময়ই প্রকাশিত হয়ে যায়।’

রবিবার কেন্দ্রের তরফে ইউটিউব এবং টুইটারকে বিবিসি-র তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সমাজমাধ্যম থেকে তুলে নিতে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। পাশাপাশি, আইটি রুলস ২০২১-এর জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৫০টির মতো টুইট তুলে নেওয়ার জন্যও কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিরোধী দলের নেতারা একে ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়েছেন। কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকার কারণে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে বিবিসির তথ্যচিত্র প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। 

আরও পড়ুন

জানা গেছে, দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সময় গোধরা-কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে। তাই  ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement