জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর দুনিয়াজুড়ে সমর্থন পাচ্ছে ভারত। এবার মার্রকিন যুক্তরাষ্ট্রও পাশে দাঁড়াল। ওয়াশিংটন জানাল, পহেলগাঁও হামলার সন্ত্রাসীদের ধরতে ভারতকে সাহায্য করবে তারা। এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা (ডিএনআই) অধিকর্তা তুলসী গ্যাবার্ড। ভারতের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
এক্স হ্যান্ডেলে তুলসী গ্যাবার্ড লিখেছেন,'পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন হিন্দুকে লক্ষ্য হত্যা করা হয়েছে। এই ভয়াবহ ইসলামিক সন্ত্রাসী হামলার পর আমরা ভারতের পাশে। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমার প্রার্থনা এবং গভীর সমবেদনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বজন হারানোদের পাশে আছি। এই জঘণ্য হামলার পিছনে জড়িতদের ধরতে সবরকম সহযোগিতা করব'।
পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন মারা গিয়েছেন। ভারত সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই হামলার জন্য দোষীদের কোনও মূল্যেই রেয়াত করা হবে না। সন্ত্রাসবাদকে উস্কানি দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের উপর কয়েক দফা কঠোর পদক্ষেপ করেছে ভারত সরকার।
মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস পাহেলগাম সন্ত্রাসী হামলা সম্পর্কে এক পাকিস্তানি সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনতে চাননি। ব্রুস বলেছেন, 'ট্রাম্প এবং বিদেশসচিব স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে। সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তাঁরা। আমরা নিহতদের জীবন এবং আহতদের আরোগ্য কামনা করি। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে'।
ফোনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা
পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করে ভারতের প্রতি আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। ট্রাম্প লিখেছেন,'কাশ্মীর থেকে অত্যন্ত বিরক্তিকর খবর এসেছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকা ভারতের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা নিহতদের আত্মার শান্তি এবং আহতদের আরোগ্য কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন এবং গভীর সমবেদনা'।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করে শোক প্রকাশ করেন ট্রাম্প। সেই পূর্ণ সমর্থনও দেন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল মন্তব্য করেন,"সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত ও আমেরিকা এককাট্টা।'