মামার অমতে বিয়ে করেছিলেন ভাগ্নি। সেজন্য বিয়ের রিসেপশনে ঢুকে খাবারে বিষ মিশিয়ে দিল মামা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মামার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে তিনি পলাতক।
পুলিশ জানিয়েছে, খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে যায়। কেউ সেই খাবার খায়নি। তবে অভিযুক্ত এখনও ধরা পড়েনি। তার সন্ধান শুরু করেছে তদন্তকারীরা। এদিকে কোন বিষ খাবারে মেশানো হয়েছিল, তাও ফরেন্সিক টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।
যে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে সেখানকার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই মামার নাম মহেশ পাটিল। পালিয়ে বিয়ে করা তরুণী মামার কাছে থেকেই বড় হন। সেখান থেকেই লেখাপড়া করেন। মামা ভাগ্নিকে মেয়ের চোখে দেখতেন। ভালোবাসতেন। তাই তাঁর অমতে বিয়ে মেনে নিতে পারেননি।
ওই পুলিশ আধিকারিক আরও জানান, পাশের গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তরুণীর। সম্পর্কে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল মহেশ পাটিলের। তিনি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছিলেন ভাগ্নিকে। তবে তরুণী কথা শোনেননি। এরপর তিনি মামা-কে না জানিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে নেন। তা মেনে নিতে পারেননি অভিযুক্ত। মুখে কিছু না বললেও তিনি বিয়ের রিসেপশনের দিন আসেন ও খাবারের মধ্যে বিষ মিশিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। যদিও সেখানে উপস্থিত লোকজন পাকড়াও করে নেয় মহেশকে। তবে তাদের হাত ছাড়িয়ে পালাতে সক্ষম হন তিনি।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে BNS-এর একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। তাঁকে ধরার চেষ্টা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, যে খাবারে বিষাক্ত পদার্থ মেশানো ছিল তা কেউ খায়নি এবং তার নমুনা ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।