২০৪০ সালে চাঁদে মানুষ পাঠাবে ভারত। ফের একবার একথা জানাল মোদী সরকার। সংসদ অধিবেশনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানান, ২০৪৭ সাল বিকশিত ভারত কর্মসূচি সম্পন্ন হওয়ার আগে ২০৪০ সালেই একজন ভারতীয় চাঁদের মাটিতে পা রাখবেন।
কী ভাবে সেই লক্ষ্যে এগোবে ইসরো? রোডম্যাপ তৈরি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ২০৩৫ সালের মধ্যে স্পেস স্টেশন তৈরি করার জন্য ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোনও শিশুকন্যাই ভবিষ্যতে এই যাত্রা করবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি, একথা চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য উদযাপনের সময়ে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
২০২৩ সালের ২৩ অগাস্ট ইতিহাস রচনা করেছে ভারত। চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। আবার প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা ফেলে বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে ইসরো। এরপর ভারত উৎক্ষেপণ করেছে সূর্যযান আদিত্য এল-১। বুধ এবং শুক্রগ্রহতেও যান পাঠানোর লক্ষ্যেও ইসরোকে প্ল্যানিং করার নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
অগাস্টে মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরেছেন শুভাংশু শুক্লা। সোমবার তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত এক বছরে লখনউয়ের ছেলে শুভাংশু নাসা, অ্যাক্সিওম এবং স্পেসএক্স-এর বিভিন্ন কেন্দ্রে কঠোর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ২৬ জুন ইতিহাস তৈরি করেন ভারতীয় নভোচর শুভাংশু শুক্লা। অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানের অংশ হিসাবে অন্য তিন মহাকাশচারীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন পৌঁছন শুভাংশু। বেশ কিছুদিন ধরে মহাকাশ থেকে একাধিক বিষয়ে গবেষণা করেছেন তিনি। দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে মহাকাশের অভিজ্ঞতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী গগনযান মিশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন নমো।