ভারতের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব হল মহাকুম্ভ মেলা। প্রতি ৩ বছর অন্তর এই মেলা অনুষ্ঠিত হলেও মহাকুম্ভ বা পূর্ণকুম্ভ অনুষ্ঠিত হয় প্রতি ১২ বছর অন্তর। প্রতি তিন বছর অন্তর মেলা হয় অন্তর প্রয়াগ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী ও নাসিকে। প্রতি ছয় বছর অন্তর হরিদ্বার ও প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হয় অর্ধকুম্ভ। শেষ মহাকুম্ভ হয় ২০১৩ সালে। ২০২৫ সালে মহাকুম্ভ মেলা হবে প্রয়াগরাজে। ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মেলা।
কুম্ভমেলা সম্পর্কে ১০ অজানা তথ্য -
কুম্ভ মেলার তারিখ রাশিচক্র অনুসারে নির্ধারিত হয়। বৃহস্পতি, সূর্য এবং চাঁদের অবস্থান দ্বারা নির্ধারিত হয় তারিখ। এই তারিখগুলোতে মহাজাগতিক শক্তির দ্বারা নদী প্রভাবিত হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
প্রয়াগ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী ও নাসিকে পরস্পর এই মেলা বসে। নিয়ম মেনে প্রতি ১২ বছর অন্তর পূর্ণকুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
হিন্দু পুরাণ অনুসারে, দেবতা এবং অসুরদের মধ্যে যুদ্ধের সময় এই চারটি স্থানে অমরত্বের অমৃতের ফোঁটা পড়েছিল। সেই কারণে এই সময় নদীগুলো পবিত্র হয়ে ওঠে।
২০১৩ সালের কুম্ভ মেলায় প্রায় ১০ কোটি মানুষের সমাগম হয়েছিল। গোটা পৃথিবীতে এত মানুষের সমাগম এর আগে কোনওদিন একটি অনুষ্ঠানে হয়নি।
কুম্ভমেলা দুই সহস্রাব্দেরও বেশি পুরোনো। এর প্রথম লিখিত উল্লেখ পাওয়া যায় রাজা হর্ষবর্ধনের আমলে চিনা পর্যটক জুয়ানজাং-এর বিবরণ থেকে।
২০১৩ সালে কুম্ভমেলায় ১২০০০ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছিল সরকার। এই মেলা সেবার ছোটো বড় মিলিয়ে সাড়ে ছয় লাখ মানুষকে রোজগারের পথ খুলে দিয়েছিল।
২০১৩ সালে মেলা পরিচালনার জন্য ১৪ টি অস্থায়ি হাসপাতাল, ২৪৩ জন ডাক্তার, ৪০ হাজার অস্থায়ি বাথরুম ও ৫০ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল।
নাগা, কাপালিক সহ ভারতে বসবাসকারী প্রায় সব ধরনের সাধু এই মেলায় অংশ নেন।
পূণ্যার্থীরা বিশ্বাস করেন, মেলা চলাকালীন স্নান করলে সব পাপ ধুয়ে যায়। অমরত্ব লাভ করা যায়।