১০ দিন ধরে মৃতদেহ পড়েছিল ট্যাঙ্কের ভেতরে। সেই ট্যাঙ্ক থেকে জল খেল মেডিকেল কলেজের ডাক্তার, রোগী ও অন্য কর্মীরা। চমকে ওঠার মতো ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার মহামৃষি দেবরাহ বাবা মেডিকেল কলেজে। যদিও জলের দুর্গন্ধ নিয়ে প্রথমেই অভিযোগ করেছিলেন পড়ুয়া ও কর্মীরা। অভিযোগ পেয়ে পরিষ্কারের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা পাঁচতলায় সিমেন্টের তৈরি ট্যাঙ্কটি দেখেন। তাঁদের চোখ কপালে উঠে যায়। দেখা যায়, ট্যাঙ্কের মধ্যে একটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। গভীর রাতে পুলিশের উপস্থিতিতে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ওই ট্যাঙ্ক থেকেই ওপিডি এবং ওয়ার্ড, উভয় স্থানেই জল সরবরাহ করা হয়েছিল।
ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছ জেলা প্রশাসন। দেওরিয়ার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিব্যা মিত্তলকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ রাজেশ কুমার বার্নওয়ালকে সাময়িকভাবে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং এটি মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান ডাঃ রজনীকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে তদন্তে এসে ডিএম দিব্যা মিত্তল লক্ষ্য করেন যে পাঁচতলার ট্যাঙ্কের ঢাকনা বদ্ধ থাকা উচিত ছিল, যদিও সেটি খোলা ছিল। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এই বিষয়ে অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এরপর থেকে ট্যাঙ্কটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মুখ্য উন্নয়ন আধিকারিকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে, যাদের দু'দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।