Advertisement

UP government schools: ভারী ব্যাগকে বিদায়, ১০ দিন স্কুলে শুধু খেলাধুলো-মজা, সিদ্ধান্ত উত্তরপ্রদেশের

উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য ১০ দিনের ব্যাগবিহীন শিক্ষা কর্মসূচি চালু করেছে। পড়ুয়াদের মানসিক চাপ কমানো, মুখস্থনির্ভর পড়াশোনা থেকে বের করে এনে বাস্তবভিত্তিক ও আনন্দময় শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এটি জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP)-র ভাবনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 17 Nov 2025,
  • अपडेटेड 11:13 AM IST
  • উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য ১০ দিনের ব্যাগবিহীন শিক্ষা কর্মসূচি চালু করেছে।
  • পড়ুয়াদের মানসিক চাপ কমানো, মুখস্থনির্ভর পড়াশোনা থেকে বের করে এনে বাস্তবভিত্তিক ও আনন্দময় শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।

উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য ১০ দিনের ব্যাগবিহীন শিক্ষা কর্মসূচি চালু করেছে। পড়ুয়াদের মানসিক চাপ কমানো, মুখস্থনির্ভর পড়াশোনা থেকে বের করে এনে বাস্তবভিত্তিক ও আনন্দময় শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এটি জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP)-র ভাবনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ব্যাগবিহীন দিনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি হয়েছে SCERT-এর ‘আনন্দম’ নির্দেশিকা, যা কার্যকলাপ-ভিত্তিক শিক্ষার উপর জোর দেয়। এই নির্দেশিকায় শিক্ষা শুধু পাঠ্যপুস্তকে সীমাবদ্ধ না রেখে সৃজনশীলতা, সহযোগিতা, আত্মবিশ্বাস এবং ব্যবহারিক দক্ষতা বাড়ানোর নানা পদ্ধতি নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

ব্যাগবিহীন দিনে থাকবে যেসব কার্যক্রম
‘আনন্দম’-এর আওতায় পড়ুয়াদের বিভিন্ন হাতে-কলমে শেখার সুযোগ দেওয়া হবে।
দক্ষতা-ভিত্তিক শিক্ষণ সেশন
বিষয়ভিত্তিক ও সৃজনশীল কর্মশালা
বাস্তব অভিজ্ঞতার জন্য শিক্ষামূলক ভ্রমণ
গ্রুপে কাজের মাধ্যমে সহযোগিতা বৃদ্ধির কার্যক্রম

এছাড়া প্রতি শনিবারকে রাখা হয়েছে বিশেষ প্রতিযোগিতা ও দলগত কার্যকলাপের দিন হিসেবে। এদিন পড়ুয়ারা খেলাধুলা, ফিটনেস ইভেন্ট, পিকনিক, বহিরঙ্গন কার্যক্রম, বক্তৃতা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। এর ফলে তাদের যোগাযোগ দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস ও দলগঠনের ক্ষমতা বাড়বে।

পড়ুয়াদের সার্বিক উন্নয়নের দিকে নজর
উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, ব্যাগবিহীন দিনগুলি পুরো শিক্ষাবর্ষ জুড়েই চলবে, যাতে নিয়মিত ব্যবধানে পড়ুয়ারা বইয়ের চাপ ছাড়াই আনন্দময় ও সার্বিক শিক্ষায় অংশ নিতে পারে। এর মাধ্যমে তাদের মানসিক চাপ হ্রাস, কৌতূহল বৃদ্ধি এবং স্কুলমুখী মনোভাব তৈরির আশা করছে প্রশাসন।

শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উদ্যোগ পড়ুয়াদের মধ্যে শেখার প্রতি আগ্রহ বাড়াবে, পাশাপাশি বাস্তব জীবনের সঙ্গে পাঠ্যবস্তুর সম্পর্ক বুঝতে সাহায্য করবে। ব্যাগের ওজন ও পরীক্ষানির্ভর পাঠ্যপদ্ধতির চাপে জর্জরিত স্কুলশিক্ষার মধ্যে এই উদ্যোগ শিশুদের জন্য এক স্বস্তির পরিবর্তন বলেই অভিহিত করা হচ্ছে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement