বিয়ের চারমাসের মাথাতেই স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। কিন্তু স্ত্রী অন্তরঙ্গ মুহূর্তে গোপনাঙ্গে ব্লেড চালিয়ে দেবে, একথা কল্পনাও করতে পারেননি যুবক। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর জেলার। পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী সহবাসের সময় স্বামীর গোপনাঙ্গে ব্লেড দিয়ে আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে স্বামী গুরুতরভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং চিকিৎসকেরা তার গোপনাঙ্গে সাতটি সেলাই দেন। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত হলেও পুরো এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নতুন বিয়ের পরেই সম্পর্কে অবনতি
ঘটনাটি ঘটেছে মান্দাওয়ার থানার অন্তর্গত সিমলা কালা গ্রামে। ভুক্তভোগী চাঁদবীর ওরফে চাঁদ এ বছরের ২৯ এপ্রিল আলিপুরা জাট এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের চার মাসও পূর্ণ হয়নি, এরই মধ্যে তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। চাঁদবীর অভিযোগ করেছেন, স্ত্রী নিয়মিত অচেনা পুরুষের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন এবং আপত্তি জানালে তিনি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতেন। তার সন্দেহ ছিল, স্ত্রী আসলে দাম্পত্য সম্পর্কে আগ্রহী নন।
সহবাসের সময় আকস্মিক আক্রমণ
গত ২০ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টার দিকে দম্পতির মধ্যে তুমুল ঝগড়ার সময় ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, সেই সময় তিনি সহবাস করতে চাইলে স্ত্রী কাছে রাখা ব্লেড দিয়ে হঠাৎ তার গোপনাঙ্গে আঘাত করেন। তীব্র ব্যথায় চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসেন।
হাসপাতালে ভর্তি, পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ
আহত অবস্থায় চাঁদবীরকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তার গোপনাঙ্গে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে এবং সাতটি সেলাই করতে হয়েছে। যদিও বর্তমানে তিনি বিপদমুক্ত। ঘটনাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে চিকিৎসক পুলিশকে অবহিত করেন।
থানায় অভিযোগ দায়ের
চিকিৎসার পর চাঁদবীর থানায় গিয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার দাবি, স্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করছেন এবং ভবিষ্যতে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর পরিকল্পনাও করতে পারেন।
পুলিশের পদক্ষেপ
মান্দাওয়ার থানার ইনচার্জ জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রী বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। পুলিশ বলছে, ঘটনার তদন্ত চলছে, মেডিকেল রিপোর্ট ও সাক্ষীদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে অভিযুক্ত মহিলাকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি, শিগগিরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এলাকায় আলোচনার ঝড়
ঘটনাটি গ্রামজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের মতে, বিবাহিত জীবনে এত দ্রুত সম্পর্ক ভেঙে সহিংসতায় পৌঁছনো সমাজের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। অনেকেই একে আধুনিক যুগের পরিবর্তিত সম্পর্কের চিত্র হিসেবে দেখছেন।