শনিবার আইআইটি মাদ্রাজে এক বক্তৃতায় ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী পাকিস্তানের সেনাপ্রধান অসীম মুনিরকে ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদে উন্নীত করার প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেন। বলেন, 'যদি আপনি কোনও পাকিস্তানিকে জিজ্ঞাসা করেন, সে বলবে—আমাদের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল হয়েছেন, আমরা নিশ্চয়ই জিতেছি। সেই কারণেই তিনি এই পদ পেয়েছেন।'
তিনি স্পষ্ট করেন, যুদ্ধে ন্যারেটিভ ম্যানেজমেন্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর, পরের দিন উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ও সামরিক বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রথমবারের মতো দৃঢ় ভাষায় বলেন—'যথেষ্ট হয়েছে।” এই বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধানরা একমত হন বড় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সেনাপ্রধানের ভাষায়, “আমাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়, কী করব তা আমরা নিজেরা ঠিক করব—এমন রাজনৈতিক সমর্থন আগে দেখা যায়নি। এতে সৈন্যদের মনোবল ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।'
অপারেশন ‘সিন্দুর’: পাকিস্তানি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে বড়সড় হামলা
৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালু করে। পহেলগাওঁয়ের হামলার জবাবে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জইশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তৈয়বা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটিতে নিশানা করে এই অভিযান চলে। সেনা সূত্রে জানা যায়, এতে ১০০-রও বেশি সন্ত্রাসী নিহত হয়। ধ্বংস করা হয় একাধিক সন্ত্রাসী অবকাঠামো।
পাকিস্তান পাল্টা গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলার চেষ্টা করলেও ভারতীয় সেনা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে তা প্রতিহত করে। এর জবাবে ভারত ধ্বংস করে ১১টি পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটি, রাডার সিস্টেম, যোগাযোগ কেন্দ্র এবং বিমানঘাঁটি।
রাজনৈতিক ও সামরিক মহলের মতে, এই অভিযান শুধু সামরিক শক্তির প্রদর্শন নয়—এটি ভারতের রাজনৈতিক দৃঢ়তা ও দ্রুত প্রতিক্রিয়ার একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।