Advertisement

US Deportation to India: দালালকে ৭২ লক্ষ টাকা দিয়ে আমেরিকায় ঢুকেছিলেন, পায়ে শিকল পরে ফিরলেন নিঃস্ব আকাশ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের স্বপ্ন দেখা ভারতীয়দের গল্প আবারও হৃদয় বিদারকভাবে উঠে এসেছে। বেশ কয়েকটি কেসে এজেন্টদের প্রলোভনে পরিবারগুলো নিজেদের সম্পত্তি বিক্রি করে কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বিদেশ যাত্রা শুরু করিয়েছিল, কিন্তু অবৈধ বাসী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে তারা ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে।

হরিয়ানার যুবক আকাশ।-ফাইল ছবিহরিয়ানার যুবক আকাশ।-ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 06 Feb 2025,
  • अपडेटेड 2:21 PM IST
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের স্বপ্ন দেখা ভারতীয়দের গল্প আবারও হৃদয় বিদারকভাবে উঠে এসেছে।
  • বেশ কয়েকটি কেসে এজেন্টদের প্রলোভনে পরিবারগুলো নিজেদের সম্পত্তি বিক্রি করে কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বিদেশ যাত্রা শুরু করিয়েছিল, কিন্তু অবৈধ বাসী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে তারা ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের স্বপ্ন দেখা ভারতীয়দের গল্প আবারও হৃদয় বিদারকভাবে উঠে এসেছে। বেশ কয়েকটি কেসে এজেন্টদের প্রলোভনে পরিবারগুলো নিজেদের সম্পত্তি বিক্রি করে কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বিদেশ যাত্রা শুরু করিয়েছিল, কিন্তু অবৈধ বাসী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে তারা ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে।

এক কাহিনী বলছে, হরিয়ানার করনালের একজন যুবক, যিনি “আকাশ” নামে পরিচিত, বিদেশে কাজের সুযোগের আশায় নিজের পরিবারের জমি বিক্রি করে প্রায় আড়াই একর জমি বিক্রি করে ৬৭ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেন। আকাশের দাদা দাবি করেন, ভাইকে আমেরিকায় পাঠানোর জন্য এক এজেন্টকে এই পরিমাণ টাকা প্রদান করা হয়েছিল। এজেন্টের দ্বারা সব নথিপত্র প্রস্তুত করে আকাশকে বিদেশে পাঠানো হয়। কিন্তু, প্রায় ১০ মাস পর, যখন সে মেক্সিকোর দেয়াল টপে পৌঁছানোর সময় বিভিন্ন অবৈধ ঘুরপথ—জঙ্গল, জলপথ, সড়ক—অতিক্রম করে আমেরিকার সীমান্তে প্রবেশ করার চেষ্টা করে, তখন তাকে ধরা পড়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা জানেন যে, আকাশের স্বপ্ন ও শ্রমের বিনিময়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করেও অবৈধভাবে তাকে পাঠানো হয়েছে, যার ফলে তাঁর স্বপ্ন ভঙ্গ ও জীবনের নানা কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়েছে।

আরেকটি কাহিনীতে, পঞ্জাবের "জসপাল" নামের একজন যুবক এজেন্টকে ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে বিদেশ যাত্রার ব্যবস্থা করানোর চেষ্টা করেন। গত বছরের জুলাইয়ে তিনি বিমানে ব্রাজিলে যান, তবে ব্রাজিল থেকে আমেরিকায় সরাসরি পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশের সীমান্ত পার করানোর ব্যবস্থা করা হয়। ছয় মাস ব্রাজিলে থাকার পর আমেরিকার সীমান্তে পৌঁছানোর সময় ধরা পড়ে যান। এরপর ১১ দিন জেল খাটতে হয়। জসপালের অভিযোগ, এজেন্ট তাঁকে প্রতারণা করেছে বলে, এবং পুলিশ জানিয়েছে যে, তাঁকে অবৈধভাবে দেশের দিকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

এই কাহিনীগুলো আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, বিদেশে অবৈধভাবে প্রবেশের প্রলোভনে পরিবার ও যুবকদের উপর কতটা আর্থিক ও মানসিক চাপ পড়ছে। এজেন্টদের দ্বারা প্রতারণা, খরচ ও দীর্ঘস্থায়ী বিচার প্রক্রিয়া – সব মিলিয়ে, এসব ঘটনা দেশের জন্য এক ধরনের সতর্কবার্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের নজরদারি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির মাধ্যমে এই ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই প্রলোভনে পড়ে নিজস্ব জীবন ও স্বপ্ন হারাতে না হয়।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement