
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসকে মার-এ-লাগো এস্টেটের সোনালী পাতাযুক্ত নির্মাণে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন। এই পরিকল্পনার শেষ উদাহরণ হিসেবে হোয়াইট হাউসে সোনালী রঙের বলরুম নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজের সময় হোয়াইট হাউসের পূর্ব অংশ, যা ফার্স্ট লেডি ও তার কর্মীদের অফিস হিসেবে ব্যবহার হত, তা ভেঙে ফেলা হয়েছে।
অনুমোদন এড়িয়ে নির্মাণ ও ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার
সিবিসি ও এমএসএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য ট্রাম্প ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশনের অনুমোদন না নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। বিশেষজ্ঞরা এটিকে ভারতের অনেক নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যেখানে অনুমোদন এড়িয়ে নির্মাণ শুরু করা হয়। উদাহরণ হিসেবে, ভারতের নাগপুরে একটি ফ্লাইওভার ব্যক্তিগত জায়গার ওপর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। যা বিতর্কের মুখে পড়েছে।
ট্রাম্পের বলরুম প্রকল্পেও বুলডোজার ও অন্যান্য ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের পূর্ব অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে, যা পূর্বে ফার্স্ট লেডির অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হত।
অতিরিক্ত ব্যয় এবং বাজেট বৃদ্ধি
প্রকল্পের খরচ প্রাথমিকভাবে ১০০ মিলিয়ন ডলার নির্ধারিত হলেও, এক বছরের মধ্যে তা ২০০ মিলিয়ন ডলারে এবং পরে ৩০০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। প্রাথমিকভাবে ট্রাম্প নিজেই ব্যয়ভার বহন করার কথা বললেও, পরে বেসরকারি দাতা ও কর্পোরেশন থেকেও অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। এই খরচ বৃদ্ধিও ভারতীয় নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে তুলনার যোগ্য, যেখানে বাজেটের অতিক্রম সাধারণ দৃশ্য।
সাংস্কৃতিক দখল ও রাজনৈতিক প্রদর্শনী
ট্রাম্পের বলরুম প্রকল্পে জাঁকজমকপূর্ণ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। প্রকল্পটি কংগ্রেস ও সংশ্লিষ্ট কমিশনের নজরের বাইরে শুরু হওয়ায় এটি রাজনৈতিক প্রদর্শনীর ছাপও ফেলেছে।