Advertisement

ভারতীয় নির্বাচনে আমেরিকার হস্তক্ষেপ? USAID সংক্রান্ত ট্রাম্পের দাবির সত্যতা কী?

২০০১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে, USAID ভারতকে মোট ২.৯ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে, যা বার্ষিক গড়ে ১১৯ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার (২০১৪-২০২৪) ১.৩ বিলিয়ন ডলার (৪৪.৪%) পেয়েছে, যেখানে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার (২০০৪-২০১৩) ১.২ বিলিয়ন ডলার (৪১.৩%) অনুদান পেয়েছে।

ভারতীয় নির্বাচনে আমেরিকার হস্তক্ষেপ? USAID সংক্রান্ত ট্রাম্পের দাবির সত্যতা কী?ভারতীয় নির্বাচনে আমেরিকার হস্তক্ষেপ? USAID সংক্রান্ত ট্রাম্পের দাবির সত্যতা কী?
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 21 Feb 2025,
  • अपडेटेड 9:45 PM IST

সাম্প্রতিক সময়ে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্য নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, USAID ভারতকে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। তবে এই দাবি কতটা সত্য? ভারতীয় নির্বাচনে মার্কিন হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা কতটা বাস্তব? চলুন বিশদে জেনে নেওয়া যাক।

USAID-এর ভারতকে অনুদান: পরিসংখ্যান
২০০১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে, USAID ভারতকে মোট ২.৯ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে, যা বার্ষিক গড়ে ১১৯ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার (২০১৪-২০২৪) ১.৩ বিলিয়ন ডলার (৪৪.৪%) পেয়েছে, যেখানে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার (২০০৪-২০১৩) ১.২ বিলিয়ন ডলার (৪১.৩%) অনুদান পেয়েছে।

ট্রাম্পের দাবি কতটা সত্য?
ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে USAID ভারতকে ভোটার টার্নআউট বাড়ানোর জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। তবে, India Today-এর অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, USAID ২০০৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নির্বাচনী সহায়তার জন্য ২৩.৬ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে, যেখানে ভারত এই ফান্ডের একটি ছোট অংশ পেয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে, ভারত মাত্র ৫ লাখ ডলারের কম পেয়েছে, যা ট্রাম্পের ২১ মিলিয়ন ডলারের দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ বিপরীত।

আরও পড়ুন

নির্বাচনের জন্য ফান্ড বরাদ্দ
USAID নির্বাচনী সহায়তার জন্য 'চুনাব ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া' ফান্ডের মাধ্যমে সারা বিশ্বে বিভিন্ন প্রকল্পে অনুদান দেয়। এই অনুদান সাধারণত NGO ও সংস্থাগুলির মাধ্যমে বিতরণ করা হয়, যেগুলি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে কাজ করে। ২০১৩ সালে, USAID ভারতকে CEPPS-এর মাধ্যমে ৫ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছিল, যা ২০১৮ সালের পর বন্ধ হয়ে যায়।

অন্যান্য খাতে ব্যয়
USAID-এর দেওয়া ২.৯ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা খাতে ৫৬% (১.৬ বিলিয়ন ডলার) ব্যয় হয়েছে। ‘গভর্নেন্স’ খাতে ৪.২% (১২১ মিলিয়ন ডলার) ব্যয় হয়েছে, যার মধ্যে ‘নাগরিক সমাজ ও গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ’ খাতে ১৪.৬ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

২১ মিলিয়ন ডলারের সত্যতা
The Indian Express ও India Today-এর অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, USAID ভারতকে ভোটার টার্নআউট বাড়ানোর জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার দেয়নি। বরং, ২০০৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ২৩.৬ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে। CEPPS-কে ১৮.১ মিলিয়ন ডলার এবং অন্যান্য সংস্থাকে বাকি অর্থ প্রদান করা হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি যে USAID ভারতকে ২১ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে, তা ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর। ভারতীয় নির্বাচনে মার্কিন হস্তক্ষেপের অভিযোগের কোনো প্রমাণ মেলেনি। বরং, USAID মূলত স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা, ও নাগরিক সমাজের উন্নতির জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement