অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষাই উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ফের ক্ষমতা দখলের আভাস দিয়েছে। পিছিয়ে পড়েছে সমাজবাদী পার্টি। উত্তরপ্রদেশে কি যোগীর রাজ? না সাইকেলে সওয়ার হয়ে লখনৌয়ের কুর্সিতে অখিলেশ যাদব?
জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানান,'চার রাজ্যেই ক্ষমতায় আসতে সফল হয়েছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশ সবচেয়ে বড় রাজ্য। গোটা দেশ তাকিয়ে ছিল। ভারতীয় জনতা পার্টি ও শরিক আপনা দল প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শন ও নেতৃত্বে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। জনতা জনার্দনকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। কোটি কোটি মানুষকে অভিনন্দন জানাচ্ছি যাঁদের পরিশ্রমে আজ ভারতীয় জনতা পার্টিকে সরকার তৈরির সুযোগ পেয়েছে। প্রথমবার শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। মানুষের শক্তিতে ভারতীয় জনতা পার্টি ও শরিক দলগুলি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জাতিবাদ ও পরিবারতন্ত্রের রাজনীতিকে জলাঞ্জলি দিয়েছে মানুষ । দুনিয়ার জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে উন্নয়নযজ্ঞ শুরু হয়েছিল। আমাদের কাছে মোদীর নেতৃত্ব ও মার্গদর্শন রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বেই দেশের এক নম্বর রাজ্য হবে উত্তরপ্রদেশ।'
সহারানপুরে ৭টি আসনের মধ্যে ৫টিতে এগিয়ে সমাজবাদী পার্টি।
উন্নাওয়ে সব আসনেই এগিয়ে বিজেপি। কৈরানাতেও গেরুয়া শিবিরের জয়জয়কার।
এখনও সরকার গড়ার আশায় সপার। অখিলেশের দলের দাবি, ১০০টি আসনে ৫০০ ভোটের ফারাক রয়েছে।
লখনউয়ের ৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি এগিয়ে ৭টিতে। দু'টিতে এগিয়ে সপা।
কবি মুনাওয়ার রানার বাড়িতে বাহিনী মোতায়েন করল লখনউ পুলিশ। তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে খবর। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কলোনির গেট। যোগী ফিরলে রাজ্য ছাড়ার কথা বলেছিলেন মুনাওয়ার।
গোরক্ষপুরে এগিয়ে যোগী আদিত্যনাথ। উচ্ছ্বাস বিজেপি নেতা-কর্মীদের।
ভোট প্রবণতায় স্পষ্ট বিপুল আসন নিয়ে ফিরছেন যোগী। তবে হার মানতে চান না সমাজবাদী পার্টি। তারা টুইট করে জানিয়েছে, 'কেউ গণনাকেন্দ্র ছেড়ে যাবেন না। আমরা জিতছি।'
জয় নিশ্চিত হতে লখনউয়ে বিজেপি কর্ম-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। আবির খেলে উদযাপন।
লখনউয়ের ৯ আসনের মধ্যে ৬টিতে এগিয়ে বিজেপি। লখনউ ক্যান্টনমেন্ট থেকে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী ব্রজেশ পাঠক। মধ্য লখনউ থেকে এগিয়ে গেরুয়া প্রার্থী রজনীশ গুপ্তা। মোহনলাল গঞ্জ, লখনউ উত্তর এবং সরোজিনী নগর থেকে এগিয়ে সপা।
প্রাথমিক প্রবণতায় বিজেপি জাদু সংখ্যা পেরিয়ে গেল। ২৮৯টি আসনে এগিয়ে গেরুয়া শিবির। জাদু সংখ্যা ২০২। সপা ৭৭ আসনে এগিয়ে।
প্রাথমিক ভোট প্রবণতায় গোরক্ষপুর আসনে এগিয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রয়াগরাজ পশ্চিমে এগিয়ে সিদ্ধার্থনাথ সিং। নন্দগোপাল নন্দী এগিয়ে প্রয়াগরাজ দক্ষিণের আসনে।
জয়ের শংসাপত্র নিয়ে গণনাকেন্দ্র ছাড়ার বার্তা দিলেন অখিলেশ। টুইট করলেন,'পরীক্ষায় ধৈর্য্যের সময় এটা। প্রমাণপত্র নিয়েই গণনাকেন্দ্র ছাড়বেন গণতন্ত্রের সৈনিকরা।'
প্রাথমিক প্রবণতায় এগিয়ে সপা সভাপতি অখিলেশ যাদব। বাইরাইচে বিজেপির অনুপমা জয়সওয়াল পিছিয়ে। বারাণসী দক্ষিণে পিছিয়ে বিজেপির নীলকণ্ঠ তিওয়ারি।
প্রাথমিক ভোট প্রবণতায় অর্ধশতরান যোগী-মোদীর দলের। বিজেপি - ৫০। সপা ৩০। বিএসপি- ১। অন্যান্য ১।
উত্তরপ্রদেশে প্রাথমিক ভোট প্রবণতায় এগিয়ে গেরুয়া শিবির। বিজেপি- ৮। সপা- ২।
বারাণসীতে স্ট্রংরুমে ঢুকতে বাধা সপা কর্মীদের। ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। স্লোগান।
গণনার মাঝে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রা জানান, ইভিএমের সত্যতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও কারণই নেই। ২০০৪ সাল থেকে ইভিএমের ব্যবহার হচ্ছে। ২০১৯ সাল থেকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে রাখা হয়েছে ভিভিপ্যাট। স্ট্রংরুমের বাইরে কোনও ইভিএম-কে আনা যায় না।
উত্তরপ্রদেশের ৪০৩ আসনে শুরু গণনা। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা করা হবে। তার পর ৮.৩০ থেকে শুরু হবে ইভিএমের গণনা। ইভিএম গণনা শুরু হলেও পোস্টার ব্যালটের কাউন্টিং চালু থাকবে।
গণনাকেন্দ্রে হাজির দুই দলের সমর্থকরা।