Advertisement

'মৃত্যুকুম্ভ বলা ব্যক্তি হোলির ঝামেলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি', মমতাকে খোঁচা যোগীর

২৯ জানুয়ারি প্রয়াগরাজের সঙ্গমে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। যেখানে সরকারিভাবে ৩০ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। এই ঘটনার পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে এই ধরনের দুর্ঘটনার কারণে মহাকুম্ভ একটি মৃত্যুকুম্ভে পরিণত হয়েছে।

'মৃত্যুকুম্ভ বলা ব্যক্তি হোলির ঝামেলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি', মমতাকে খোঁচা যোগীর'মৃত্যুকুম্ভ বলা ব্যক্তি হোলির ঝামেলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি', মমতাকে খোঁচা যোগীর
Aajtak Bangla
  • উত্তরপ্রদেশ,
  • 16 Mar 2025,
  • अपडेटेड 5:42 PM IST
  • ২৯ জানুয়ারি প্রয়াগরাজের সঙ্গমে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে
  • যেখানে সরকারিভাবে ৩০ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে

যারা প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভকে 'মৃত্যুকুম্ভ' বলে অভিহিত করেছিলেন, তাঁরা হোলির সময় ঝামেলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। রবিবার একথা বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গোরক্ষপুরে গোরক্ষপুর জার্নালিস্ট প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত পদাধিকারীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো তামিলনাড়ু থেকেও মানুষ মহাকুম্ভে এসেছিলেন। কেরালা থেকেও মানুষ এসেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যা ২৫ কোটি এবং হোলি শান্তিপূর্ণভাবে পালন হয়েছিল। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গে হোলির সময় বেশ কিছু ঝামেলা হয়েছে।'

এরপরেই যোগী বলেন, 'আর, যারা হোলির সময় বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি, তাঁরাই বলেছিল যে প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ একটি 'মৃত্যু কুম্ভ'। কিন্তু, আমরা বলেছিলাম যে এটি 'মৃত্যু' নয় 'মৃত্যুঞ্জয়', এটি একটি মহাকুম্ভ। মহাকুম্ভে প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫০,০০০ থেকে ১ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন।

২৯ জানুয়ারি প্রয়াগরাজের সঙ্গমে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। যেখানে সরকারিভাবে ৩০ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। এই ঘটনার পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে এই ধরনের দুর্ঘটনার কারণে মহাকুম্ভ একটি মৃত্যুকুম্ভে পরিণত হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন যে উত্তরপ্রদেশ সরকার প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করেছে। মমতা বলেন, 'তারা মৃ্ত্যুর সংখ্যা কমাতে শত শত মৃতদেহ লুকিয়ে রেখেছে। বিজেপির শাসনামলে মহাকুম্ভ 'মৃত্যু কুম্ভে' পরিণত হয়েছে।'

আরও পড়ুন

যদিও প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুদিন পরে বলেন,'কে বলেছে আমি আমার ধর্মকে সম্মান করি না? মনে রাখবেন ধর্ম একজন ব্যক্তির, কিন্তু উৎসব সকলের জন্য। আমাদের দেশে, আমাদের বেশ কয়েকটি রাজ্য রয়েছে এবং প্রতিটি রাজ্যের ভাষা, শিক্ষা, জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি এবং বিশ্বাস আলাদা। কিন্তু আমরা সকল সংস্কৃতিকে সম্মান করি এবং সেই কারণেই বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য আমাদের দর্শন এবং আদর্শ।'

Read more!
Advertisement
Advertisement