ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে অংশ নিয়ে ব্রজ অঞ্চল নিয়ে কথা বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই কনক্লেভের অন্যতম আকর্ষণ ছিল যোগী আদিত্যনাথ। সবে মাত্র কুম্ভ মেলা শেষ হয়েছে। রেকর্ড সংখ্যক মানুষের সমাগম হয়েছিল এবারের প্রয়াগরাজে। তা নিয়েও একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন যোগী।
ব্রজ অঞ্চলের আধ্যাত্মিক পর্যটন -
ব্রজ অঞ্চলের অধ্যাত্মিক পর্যটনকে উন্নত করা হবে বলে কনক্লেভ থেকে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, 'অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি মন্দির নির্মাণের আগে দীপোৎসবের মাধ্যমে ভক্তরা আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানে নিজেদের যুক্ত করেছিলেন। ঠিক সেভাবেই এখন ব্রজ অঞ্চলে আধ্যাত্মিক পর্যটনের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।'
যোগী আদিত্যনাথ পরিষ্কার জানিয়ে দেন, উত্তরপ্রদেশে ধর্মীয় পর্যটনকে আরও বাড়ানোর ক্ষেত্রে তাঁর সরকার বদ্ধপরিকর। জানান, সেখানে বসন্ত পঞ্চমী থেকেই হোলি উদযাপন শুরু হয়ে যায়। প্রতিটি গ্রামে বিশেষ হোলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সদ্য মহাকুম্ভ শেষ হয়েছে। এবার ব্রজ অঞ্চলের হোলিতে সেই কুম্ভের সাফল্য প্রচার করা হবে।
যোগী আদিত্যনাথ জানান, ব্রজ অঞ্চলে সরকার এবার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োদন করতে চলেছে। তিনি জানান, ব্রজে ভালো অনুষ্ঠান করা হলে। এছাড়াও করিডোর নির্মাণ এবং অন্যান্য মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবেয ব্রজ অঞ্চল সংক্রান্ত অনেক মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকলেও সরকার সেই সব মামলার সমাধানের চেষ্টা করছে।
প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভ নিয়েও একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন যোগী আদিত্যনাথ। এবার কুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। সেই ঘটনার পর কুম্ভর ব্যবস্থা ও পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কুম্ভকে 'মৃত্যুকুম্ভ' বলে উল্লেখ করেন। সেই প্রসঙ্গে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, 'আমরা এই ধরনের কটাক্ষ শুনেছি। উনি মৃত্যুকুম্ভ বলেছেন, আর দেশের সব সনাতন ধর্মের মানুষ প্রমাণ করেছেন, এটি মৃত্যুকুম্ভ নয়, মৃত্যুঞ্জয় মহাকুম্ভ। সব বিরোধীদের জনতা জবাব দিয়ে দিয়েছে। মহাকুম্ভ, গঙ্গা জল নিয়ে কটাক্ষ করা মানুষরা আজীবন মনে রাখবেন এবং আফশোস করবেন ভবিষ্যতে।'
যোগী আরও দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে মহাকুম্ভে প্রতিদিন ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন। এই প্রথমবার দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্য থেকে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়েছিল। যোগীর কথায়, 'কুম্ভ নিয়ে যাঁরা সেকুলারিস্ট ছিলেন, যাঁরা অভিযোগ করেছিলেন এখানে বাছবিচার করা হয়। তাঁদের মুখ বন্ধ করতে পারেছি। যাঁরা নিন্দা করেছিলেন, তাঁদের পরিবারের কেউ না কেউ কুম্ভে অংশ নিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে সনাতন ধর্মের স্বরূপ অনুধাবন করেছেন। তাছাড়া এত লম্বা অনুষ্ঠানে কোনও চুরি-ডাকাতি কিংবা অন্য কোনও রকম টিজিংয়ের ঘটনা ঘটেনি।'