কথাতেই আছে, জয়ের কৃতিত্ব সকলেই নিতে চান। কিন্তু হারের দায়! লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ভরাডুবির পর দলের অন্দরেই শুরু হয়ে গিয়েছে নারদ-নারদ। দফায় দফায় বৈঠক চলছে দিল্লিতে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন উত্তরপ্রদেশে যোগীর ডেপুটি কেশবপ্রসাদ মৌর্য। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন,'সরকারের চেয়ে বড় সংগঠন নয়'।
মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেছেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফল নিয়ে দুপক্ষের কথা হয়েছে বলে খবর। ওই বৈঠকের পর নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কেশব প্রসাদ মৌর্য সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলতে চাননি। কেশবপ্রসাদ মৌর্য এবং যোগী আদিত্যনাথের 'মধুর' সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। মঙ্গলে নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার মৌর্য এক্স হল্যান্ডে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন,'সরকারের চেয়ে সংগঠন বড়। কর্মীদের কষ্টই আমার কষ্ট, সংগঠনের চেয়ে বড় কেউ নয়। কর্মীরাই দলের অহংকার'।
কেশবপ্রসাদ মৌর্যের এই বার্তা কি যোগী আদিত্যনাথের উদ্দেশে? জল্পনা শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে। বিরোধীদের দাবি, বিজেপির মধ্যে যোগী বনাম কেশবের লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। এহেন সুযোগে বিজেপির মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উস্কে দিয়েছেন সপা সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবও। তাঁর কথায়,'কুর্সি নিয়ে বিজেপির অন্দরে উত্তপ্ত লড়াই চলছে। এদিকে উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন চলে গিয়েছে ঠান্ডা ঘরে। বিরোধী দলের সঙ্গে ভাঙানোর রাজনীতি করে বিজেপি। এবার ওদের নিজেদের দলের অন্দরেই ভাঙন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ডুবে যাচ্ছে বিজেপিই। সাধারণ মানুষের কথা ভাবার কেউ নেই'।
এদিকে, ১০টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। বুধবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মন্ত্রীদের মতামত নেবেন। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ৫ কালিদাস মার্গে এই বৈঠক বসছে।