মোবাইলে গেম খলতে নিষেধ করা হয়েছিল। করা হয়েছিল মারধর ও বকাঝকা। আর তাতেই অভিমানে আত্মঘাতী ১০ বছরের বালক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের হোসেনগঞ্জের চিতওয়াপুর এলাকায়। এই ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, স্বামীর মৃত্যুর পর বারো বছরের মেয়ে বিদিশা ও ১০ বছরের ছেলে আরুষকে নিয়ে বাপেরবাড়িতে থাকতেন কোমল নামে বছর চল্লিশের এক মহিলা। পরিবার সূত্রে খবর, বিগত কয়েকদিন ধরে স্কুলে যাচ্ছিল না আরুষ। বাড়িতে সারাক্ষণ মোবাইলে গেম খেলত সে। এই বিষয়ে আগেও তাকে বোঝানো হয়েছে। তবে তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় ছেলেকে মারধর করে হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেন কোমল।
এরপর ঘরে ঢুকে দিদিকে বের করে দেয় আরুষ। তারপর দরজাও বন্ধ করে দেয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে দরজা না খোলায় ডাকাডাকি শুরু করেন বাড়ির লোকেরা। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর দরজা ভেঙে দেখা যায় গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে আরুষ। তাড়াহুড়ো করে দেহ নামানো হলেও ততক্ষণে সব শেষ। ঘটনায় শোকে পাথর আরুষের মা। শোকের ছায়া গোটা এলাকাতেও।
এই বিষয়ে ডিসিপি সেন্ট্রাল জোন অপর্ণা রজত কৌশিক জানাচ্ছেন, শিশুটি আত্মহত্যা করেছে। মায়ের তরফে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। পরিজনেরা জানাচ্ছেন, শিশুটি মোবাইলে বেশি গেম খেলত। তাই তার মা তাকে বকাঝকা করেন। তাতেই অভিমানী হয়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছে সে।
আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা
প্রসঙ্গত, এই ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে এরাজ্যেও ঘটেছে এমন ঘটনা। কয়েক মাস আগে মোবাইলে গেম খেলতে বাধা পেয়ে অভিমানে কিটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। অন্যদিকে, সমাজে অনলাইন গেমের বাড়ন্ত প্রভাবের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকারও নতুন আইন আনতে চলেছে। কিছুদিন আগেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিষয়টি জানান এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আরও পড়ুন - ছবিতে উলের গোলার মাঝে লোকানো রয়েছে একটি বল, খুঁজে পেলেন?