Advertisement

Ammi Abbu: স্কুলের বই পড়ে বাবা-মাকে 'আম্মি-আব্বু' ডাকছে ছেলে, তদন্তের নির্দেশ

উত্তরাখণ্ডে ক্লাস-২-এর ছেলেমেয়েদের বাবা-মা পড়া নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। এখানে শিশুদের জন্য ইংরেজি পাঠ্যপুস্তকে অভিভাবকদের জন্য 'আব্বু' এবং 'আম্মি' শব্দের ব্যবহার নিয়ে আপত্তি জানিয়ে দেরাদুনের ডিএম-এর কাছে অভিযোগ করেছেন এক ছাত্রের বাবা।

বইয়ের বিতর্কিত অংশ।
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 08 Apr 2023,
  • अपडेटेड 9:30 AM IST
  • উত্তরাখণ্ডে ক্লাস-২-এর ছেলেমেয়েদের বাবা-মা পড়া নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
  • এখানে শিশুদের জন্য ইংরেজি পাঠ্যপুস্তকে অভিভাবকদের জন্য 'আব্বু' এবং 'আম্মি' শব্দের ব্যবহার নিয়ে আপত্তি জানিয়ে দেরাদুনের ডিএম-এর কাছে অভিযোগ করেছেন এক ছাত্রের বাবা।

উত্তরাখণ্ডে ক্লাস-২-এর ছেলেমেয়েদের বাবা-মা পড়া নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। এখানে শিশুদের জন্য ইংরেজি পাঠ্যপুস্তকে অভিভাবকদের জন্য 'আব্বু' এবং 'আম্মি' শব্দের ব্যবহার নিয়ে আপত্তি জানিয়ে দেরাদুনের ডিএম-এর কাছে অভিযোগ করেছেন এক ছাত্রের বাবা। ছাত্রের বাবা মনীশ মিত্তল বলেছেন যে ইংরেজি পাঠ্যপুস্তকে এই শব্দগুলি পড়ার পরে তার ছেলে তাকে 'আব্বু' এবং তার মা 'আম্মি' ডাকতে শুরু করে।

তিনি তাঁর সন্তানকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন কেন সে এমন করছে। তাঁরা জানতে পেরেছিল শিশুটির ইংরেজি বইয়ে একটি কবিতা আছে, 'খুব বড় খুব ছোট'। কবিতায় শানু তার মাকে আম্মি এবং বাবাকে আব্বু বলে ডাকে। দাদা থেকে দাদা, আর দাদি থেকে ঠাকুরমা। শেষে আব্বু, আম্মি, দাদা, দাদি শব্দের অর্থও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মণীশ মিত্তল এই বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ইংরেজি ভাষার পাঠ্যপুস্তক গুলমোহর দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে ওই বিতর্কিত ছড়াটি। হায়দ্রাবাদ অরিয়েন্ট ব্ল্যাক সোয়ান প্রকাশনা থেকে বের করা হয়েছে বইটি। সেখানে প্রথম চ্যাপ্টার এই মা এবং বাবাকে আমি এবং আব্বু বলে লেখা হয়েছে, এবং পরে সেটিকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে আম্মি: মা, এবং আব্বু: বাবা,’ জানিয়েছেন মণীশ।

তাঁর দাবি, হিন্দি বইতে মাতা এবং পিতা লেখা উচিত। উর্দু বইতে আম্মি-আব্বু লেখা যেতেই পারে। ‘কিন্তু ইংরেজি বইতে মা-বাবাকে আমি এবং আব্বু বলে ডাকা একেবারেই অনুচিত। এই বইটি শুধুমাত্র যে দেহরাদুনে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে পড়ানো হয় তা নয়, দেশ জুড়েই আইসিএসই স্কুলগুলিতে এই বইটি পড়ানো হয়,’ দাবি তাঁর।

এরপরেই বইটি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে জেলাশাসককে চিঠি লিখেন মণীশ। চিঠির বয়ানে তিনি লেখেন, ‘ইংরেজি ভাষা স্কুল পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত, এবং এই ধরনের চর্চা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। এটা একটা গুরুতর বিষয় এবং আমাদের বিশ্বাস এবং ধর্মের উপরেও এক রকমের আক্রমণ।’

Advertisement

এই ধরনের ‘ধর্ম বিরোধী কাজ’ বন্ধ করার জন্য যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি জেলাশাসককে অনুরোধ জানিয়েছেন। ঘটনার বিষয় তদন্ত করে দেখে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য শিক্ষা আধিকারিক লকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক সনিকা।

আরও পড়ুন-ইডেনে বসে KKR-র ম্যাচ দেখেছে, কলকাতায় ধৃত জামতাড়া গ্যংয়ের ১১ সদস্য

 

TAGS:
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement