ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের কারণে বিদ্যুতায়িত গোটা ব্রিজ। আর তার ফলে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১৬ জনের। আহত বহু। উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে অলকানন্দা নদীর তীরের ঘটনা। আহতদের চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করে।
নমামি গঙ্গে প্রকল্পের অংশ এই সেতু। অলকানন্দা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। আহতদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের AIIMS-এ ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ৫ জনকে চামোলির গোপেশ্বর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। সবার আগে একজন স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মী বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হন। এরপর পুলিশে খবর দেয় গ্রামবাসীরা। পুলিশকর্মীরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান। এদিকে সেই সময়ে ব্রিজ সম্পূর্ণ বিদ্যুতায়িত হয়ে রয়েছে। সেই বিষয়ে খেয়াল না করেই ব্রিজে উঠে পড়েন অনেকে। আর তখনই তাঁরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
'একজন পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর এবং পাঁচজন হোম গার্ড সহ প্রায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, ব্রিজের রেলিং বিদ্যুতায়িত হয়ে গিয়েছিল। তদন্তের পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে,' উত্তরাখণ্ড পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল এমনটাই জানিয়েছেন।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পিপলকোটি ফাঁড়ির ইনচার্জও এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, 'খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশ, এসডিআরএফ এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। দোষীর বিরুদ্ধে করা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
'আহতদের চিকিত্সার সমস্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাঁদের AIIMS ঋষিকেশে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রিয়াল তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,' বলেন তিনি।
এই ঘটনার ফলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুত দফতরের কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা। তাঁদের বিরুদ্ধে করা ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।