উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে ৪১ জন শ্রমিকের প্রাণ বাঁচানোর লড়াই এখন শেষ পর্যায়ে। বৃহস্পতিবার সকালে সিল্কিয়ারার টানেল ধসের স্থান থেকে যে কোনও সময় সুখবর আসতে পারে। ভেতরে আটকে পড়া শ্রমিকরা বের হলেই প্রথম মেডিক্যাল চেকআপ করা হবে। এরপর বাকি প্রসেসিং করা হবে। ১২ নভেম্বর থেকে শ্রমিকরা সুড়ঙ্গে আটকে আছেন। উদ্ধারকর্মীরা সফলভাবে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ৪৫ মিটার চওড়া পাইপ ঢুকিয়েছে। এখন আর মাত্র কয়েক মিটার কভার বাকি। এরপর উদ্ধারকর্মীরা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে পাইপ দিয়ে বের করে আনবেন। কর্মীদের কাছে পৌঁছনোর জন্য উদ্ধারকর্মীদের মোট প্রায় ৫৭ মিটার ড্রিল করতে হয়েছিল। ধ্বংসাবশেষে ৩৯ মিটার পর্যন্ত স্টিলের পাইপ ঢোকানো হয়েছে।
উদ্ধার অভিযান দলের সদস্য গিরিশ সিং রাওয়াত জানিয়েছেন, উদ্ধার অভিযান শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী এক থেকে দু ঘণ্টার মধ্যে শ্রমিকদের বের করে আনা হবে। তিনি বলেন, শ্রমিকদের বের করে আনার জন্য পাইপলাইন বিছানো হচ্ছে। ধ্বংসাবশেষে আটকে থাকা স্টিলের টুকরোগুলো কেটে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এর আগে, অগার মেশিন একটি শক্ত বস্তুতে আঘাত করার পরে ড্রিলিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অগার মেশিন দিয়ে ড্রিলিং পুনরায় শুরু হওয়ায় উদ্ধার অভিযান ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শ্রমিকরা পাইপের ভেতরে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার এখানে ৫৭ মিটার পর্যন্ত ছয় ইঞ্চি পাইপলাইন বিছানো হয়েছে। দুই দিন ধরে এই পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।
আগের দিন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্ধার অভিযানের পর্যালোচনা করতে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী শ্রমিকদের খাবার, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং ওষুধ সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এই নতুন পাইপলাইন এবং ধ্বংসস্তূপের বাইরে পাঠানো একটি এন্ডোস্কোপিক ফ্লেক্সি ক্যামেরার মাধ্যমেই মঙ্গলবার আটকে পড়া শ্রমিকদের প্রথম ছবি ধরা পড়ে।