পদে পদে বাধা। উত্তর কাশীর সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে বাঁচাতে কালঘাম ছুঁটছে উদ্ধারকারী দলের। শ্রমিকদের বের করে আনতে আবারও বাধা! খানিক দূরেই থমকাল খননযন্ত্র। তাতে দেখা গিয়েছিল প্রযুক্তিগত ত্রুটি। যে কাঠামোর উপর যন্ত্রটি রাখা হয়েছিল, তাতেও সমস্যা। সবমিলিয়ে শ্রমিকদের সুস্থ বের করে আনতে আরও সময় বাকি। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৪ কর্তার কাছ থেকে আসছে নানা বক্তব্য। উত্তরাখণ্ড সরকারের সচিব নীরজ খয়েরওয়ার জানিয়েছেন, আরও কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এনএইচআইডিসিএলের এমডি মাহমুদ আহমেদ বলেন,'আমরা ২২ নভেম্বর ৪৫ মিটার পাইপ ঢুকিয়েছিলাম। এর পর একটি গার্ডার বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। সেজন্য খননযন্ত্রটি বন্ধ করতে হয়েছিল। আমরা বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে গার্ডারটি কাটতে পেরেছি। ২৩ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার বাধার সম্মুখীন হয়েছিল উদ্ধারকারী দল। খননের জন্য আনা আমেরিকার যন্ত্রটির ব্লেড বিকল হয়ে গিয়েছিল। তা মেরামত করতে হয়। তাছাড়া যন্ত্রটি যেখানে রাখা হয়েছিল, তাতেও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তা সারানো হয়েছে।
গত ১২ নভেম্বর উত্তরকাশীর ব্রহ্মতাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা ও ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ ধসে পড়ে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। ধ্বংসস্তূপের পিছনে আটকে পড়েন তাঁরা। তার ১১ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার করা যায়নি শ্রমিকদের। জোরকদমে চলছে চেষ্টা। বুধবার রাত থেকেই সুড়ঙ্গের বাইরে অপেক্ষা করছে ২০টি অ্যাম্বুল্যান্স। সেই সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে একটি কমিউনিটি হাসপাতালও। সেখানে রয়েছে শয্যা। শ্রমিকদের উদ্ধারের পর সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। করা হবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন সুড়ঙ্গ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ অ্যার্নল্ড ডিক্স। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন,'চূড়ান্ত ধাপে আমরা পৌঁছে গিয়েছি। এটা ঠিক যেমন দরজার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া। আমি জানি শ্রমিকরা ওপারে আছে। কীভাবে উদ্ধার করব, সেটাও জানি'।