Advertisement

Jammu & Kashmir: প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর, বৈষ্ণোদেবীর যাত্রাপথে ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১

টানা ভারী বৃষ্টিতে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বুধবার কাটরায় বৈষ্ণদেবী মন্দিরের যাত্রা পথে ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত ৩১ জন নিহত। আহত হয়েছেন ২৩ জনের বেশি। ত্রিকুটা পাহাড়ের মন্দিরে যাওয়ার রাস্তার একটি বড় অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও মানুষ আটকা পড়ে থাকতে পারে।

জম্মু-কাশ্মীরজম্মু-কাশ্মীর
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 27 Aug 2025,
  • अपडेटेड 8:31 AM IST

টানা ভারী বৃষ্টিতে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বুধবার কাটরায় বৈষ্ণদেবী মন্দিরের যাত্রা পথে ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত ৩১ জন নিহত। আহত হয়েছেন ২৩ জনের বেশি। ত্রিকুটা পাহাড়ের মন্দিরে যাওয়ার রাস্তার একটি বড় অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও মানুষ আটকা পড়ে থাকতে পারে।

অবিরাম বৃষ্টিতে জম্মু ও কাশ্মীরে বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। জম্মুতে সেতু ভেঙে পড়েছে, বিদ্যুতের লাইন এবং মোবাইল টাওয়ারগুলি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার, জম্মুতে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ২২ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে মধ্যরাতের পরে বৃষ্টি কমে যায়।

এদিকে, মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও জল জমে যাওয়ার কারণে ৩,৫০০ জনেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের যৌথ বাহিনী উদ্ধারকাজ, ত্রাণের কাজ চালাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার, বিশুদ্ধ জল এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

তবে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অনেক জায়গায় টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, যার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রশাসন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।

বর্তমানে, জম্মু এবং আশেপাশের এলাকায় প্রবল বজ্রপাত এবং ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি হল - জম্মু শহর, আরএস পুরা, সাম্বা, আখনুর, নাগরোটা, কোট ভালওয়াল, বিষ্ণাহ, বিজয়পুর, পুরমণ্ডল, কাঠুয়া ও উধমপুর। একই সঙ্গে হাল্কা বৃষ্টি পড়ছে রেসি, রামবন, ডোডা, বিল্লাওয়ার, কাটরা, রামনগর, হীরানগর, গুল ও বানিহালে।

আবহবিদেরা বলছেন, মেঘ ১২ কিমি উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা খুবই সক্রিয় ঝড়ের লক্ষণ। এই ব্যবস্থাটি পূর্ব-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং পাহাড়ি ও সমতল এলাকায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। 

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে, বুধবার উত্তর রেলওয়ে ২২টি ট্রেন বাতিল করেছে। ২৭টি ট্রেনের যাত্রা সংক্ষিপ্ত করেছে। কাটরা, জম্মু এবং উধমপুর থেকে চলাচলকারী অনেক ট্রেনের পরিষেবা প্রভাবিত হয়েছে, যার মধ্যে বৈষ্ণোদেবী বেস ক্যাম্প থেকে চলাচলকারী ৯টি ট্রেনও রয়েছে। চাক্কি নদীতে বন্যার কারণে পাঠানকোট-কান্দরোরি (হিমাচল প্রদেশ) এর মধ্যে রেল চলাচলও ব্যাহত হয়েছে। তবে কাটরা-শ্রীনগর রুটে কোনও প্রভাব পড়েনি।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement