উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের নকল প্রসঙ্গে ক্ষমা চাইতে নারাজ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, মিমিক্রি এক ধরনের শিল্প। উপরাষ্ট্রপতিকে অপমান করার উদ্দেশ্য ছিল না।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের মিমিক্রি করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কল্যাণের ওই মিমিক্রির ভিডিও করতে দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধীকে। এই ঘটনায় তীব্র চর্চা চলছে দেশজুড়ে। ইতিমধ্যেই জগদীপ ধনখড়কে ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। রাষ্ট্রপতি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘সংসদ চত্বরে আমাদের শ্রদ্ধেয় উপরাষ্ট্রপতিকে যে ভাবে অপমান করা হয়েছে, তা দেখে আমি হতাশ হয়েছি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অবশ্যই নিজেদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। তবে তাঁদের অভিব্যক্তি মর্যাদা এবং সৌজন্যের নিয়মের মধ্যে হওয়া উচিত। যে সংসদীয় ঐতিহ্যের জন্য আমরা গর্বিত এবং যা ভারতের জনগণ আশা করে, সেটি বজায় থাকা উচিত।’
আজ অর্থাত্ বুধবার এই ঘটনায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, 'উপরাষ্ট্রপতির প্রতি আমার মনে অনেক সম্মান রয়েছে। মিমিক্রি করা একধরনের শিল্প। প্রধানমন্ত্রীও মিমিক্রি করেছিলেন। আমি আপনাদের দেখাতে পারে। সবাই খুব সাধারণ ভাবেই বিষয়টি নিয়েছে। কাউকে দুঃখ দেওয়া বা অসম্মান করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না।' এরপরেই সাংবাদিকরা জিগ্গেস করেন, আপনি কি ক্ষমা চাইবেন? সটান কল্যাণ বলেন, 'না।'
কল্যাণের বক্তব্য, 'ধনখড়জির প্রতি আমার পূর্ণ সম্মান রয়েছে। উনি আমার পেশারই (আইনজীবী) মানুষ। আমাদের রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল। আমাদের উপরাষ্ট্রপতি। আমি লোকসভা বা রাজ্যসভায় তো কিছু করিনি। এটা নিছকই মজা ছিল। এখন উনি যদি নিজের কাঁধে নিয়ে নেন, আমার কী করার আছে? উনি কি সত্যিই সংসদে এরকম আচরণ করেন?'
অন্যদিকে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নকল করার ঘটনায় প্রতিবাদে এনডিএ সাংসদেরা। আজ রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা বিজেপি এবং তাদের শরিক দলের সাংসদেরা ধনখড়ের সম্মাননা এবং সমর্থনে দাঁড়িয়ে থাকবেন। জানা গিয়েছে, তৃণমূল সাংসদের আচরণের নিন্দা করে ১০৯ জন এনডিএ সাংসদ মঙ্গলবার রাজ্যসভায় এই প্রতিবাদ জানাবেন।