মঙ্গলবার দেশের নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণন। সংসদের দুই কক্ষেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় এই নির্বাচনে রাধাকৃষ্ণনের জয় প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু কৌতূহল ছিল ভোটের অঙ্ক নিয়ে। শেষপর্যন্ত ‘ইন্ডিয়া’ প্রার্থী বি সুদর্শন রেড্ডিকে ১৫২ ভোটে হারিয়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন এনডিএ প্রার্থী রাধাকৃষ্ণন। অভিযোগ উঠছে, 'ইন্ডিয়া' শিবিরের সাংসদদের মধ্যে কেউ কেউ ক্রস ভোটিং করেছেন। বিচারপতি রেড্ডির ঝুলিতে ১৫টি ভোট কম পড়ায় বিরোধী জোটের অন্দরেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। বিজেপি এই ফলকে বিরোধী জোটের ভাঙন হিসেবে তুলে ধরেছে। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
লোকসভার তৃণমূল দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, বিজেপি একেক জন সাংসদের ভোট কিনতে ১৫-২০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করেছে। তৃণমূল সাংসদ বলেন, কয়েকটি দলের রাজ্যসভার সাংসদ সরাসরি বিজেপিকে সমর্থন করেন। তবে এটাও ঠিক ওরা (বিজেপি) টাকার বস্তা নিয়ে নেমেছিল ভোট কিনতে। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ দাবি করেন, 'আমি ৪-৫ জনের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি, একেক জনের ভোট কিনতে প্রায় ১৫-২০ কোটি টাকা খরচ করেছে।' কটাক্ষের সুরে অভিষেকের মন্তব্য - বিক্রি হয় পণ্য বা দ্রব্য, মানুষের আবেগ, ভালবাসা বিক্রি হয় না। জনপ্রতিনিধি বিক্রি হতে পারে, জনতা বিক্রি হয় না।
অভিষেকের বক্তব্য, 'এটা বলা মুশকিল যে ক্রস ভোটিং হয়েছে, নাকি বিরোধী শিবিরের ভোটগুলি বাতিল হয়েছে।' তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা বলছেন, 'আমার বিশেষ করে মনে হয়, কয়েকটা দল রয়েছে যেখানে বিজেপি সরাসরি হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে আম আদমি পার্টির মতো দলের সাংসদরা তাঁদের নেতাকেও মানছেন না। এক-দু’জন রাজ্যসভার এমপি সরাসরি বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। একজন মহিলা এমপি রয়েছেন, যিনি কেজরির বিরুদ্ধে রয়েছেন।’ উল্লেখ্য, আপ সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল প্রকাশ্যেই কেজরির বিরুদ্ধাচরণ করেছিলেন।
তবে অভিষেক দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সব সাংসদ ভোট দিয়েছেন। এবং সকলেই ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ জানান, লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে তৃণমূলের ৪১ জন সাংসদই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। এমনকি অসুস্থ সৌগত রায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভোট দিতে উপস্থিত ছিলেন।