Advertisement

Vijay Diwas 1971 History: ২ লক্ষ মহিলাকে রেপ-ঢাকার রাস্তা রক্তাক্ত, স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে তখন প্রাণবাজি রাখল ভারতীয় সেনা

Vijay Diwas 1971 History: ১৬ ডিসেম্ববাংলাদেশের ইতিহাসে এক অত্যন্ত গৌরবময় দিন, যখন ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। ১৯৭১ সালে- ৫৩ বছর আগে আজকের দিনেই ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর সামনে মাথানত করেছিল পাকিস্তানি সেনা। সেই ঘটনার ৫৩ বছর পূর্ণ হল। প্রতিবছরই এ দিনটি বাংলাদেশের মানুষদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং তা উদযাপনের জন্য নানা অনুষ্ঠান এবং বিশেষ কার্যক্রম আয়োজন করা হয়।

পাকিস্তানি বর্বরতা থেকে বাংলাদেশকে যেভাবে বাঁচাল ভারতীয় সেনা
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 16 Dec 2024,
  • अपडेटेड 11:26 AM IST

Vijay Diwas 1971 History:  ১৬ ডিসেম্ববাংলাদেশের ইতিহাসে এক অত্যন্ত গৌরবময় দিন, যখন ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। ১৯৭১ সালে- ৫৩ বছর আগে আজকের দিনেই ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর সামনে মাথানত করেছিল পাকিস্তানি সেনা।  সেই ঘটনার ৫৩ বছর পূর্ণ হল।  প্রতিবছরই এ দিনটি বাংলাদেশের মানুষদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং তা উদযাপনের জন্য নানা অনুষ্ঠান এবং বিশেষ কার্যক্রম আয়োজন করা হয়। 

 ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর  ঘড়ির কাঁটায় তখন ৪ টে ৩১ মিনিটে  (বাংলাদেশের স্থানীয় সময়) ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করছেন পাকিস্তানের ৯৩,০০০ ফৌজি। ভারতের দাপটে ১৩ দিনের মধ্যেই অস্ত্র নামিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তানি বাহিনী। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার পাশে বসে আত্মসমর্পণের দলিলে সাক্ষর করছেন পাকিস্তানি সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজি। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের আজ ৫৩ বছর পূর্ণ হল।  

 

কলকাতায়ও প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় বিজয় দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠান, যা একাধারে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের একটি সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই অনুষ্ঠানটি প্রতি বছরই হয়ে থাকে কলকাতার ঐতিহাসিক ফোর্ট উইলিয়ামে, যেখানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, সেনাবাহিনীসহ নানা শ্রেণির মানুষ উপস্থিত হয়ে বিজয়ের দিনের তাৎপর্য স্মরণ করেন। কিন্তু এবার বিজয় দিবস নিঃসন্দেহে আলাদা। প্রচ্ছন্ন নয়, এক্কেবারে খোলাখুলি ভারতবিদ্বেষী মন্তব্য করে চলেছেন বাংলাদেশের নেতারা। ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ-বিষ ছড়িয়ে যুদ্ধজিগির তোলা হচ্ছে।  বাংলাদেশের স্বাধীনতালাভে যে দেশের অবদান সবথেকে বেশি, সেই ভারতের বিরুদ্ধেই ঘৃণার উদ্গীরণ চলছে অবিরাম। অন্যদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, তাদের 'জাতির জনক' বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিহ্নটুকুও রাখতে নারাজ তারা। ভাঙা হয়েছে  বঙ্গবন্ধুর মূর্তি, তাঁর স্মৃতিবিজড়িত ভবন হয়েছে তছনছ, বাংলাদেশের টাকা থেকে তুলে দেওয়া হচ্ছে তাঁর মুখ, পাঠ্যসূচি থেকে বাদ পড়তে চলেছে বঙ্গবন্ধুর কথা। এই পরিস্থিতিতে আবারও একটা বিজয় দিবস পালন হল এদিন।  

Advertisement

কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠানের। এদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা স্বীকার করে  অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশ থেকে এসেছে ৯ জনের প্রতিনিধিদল।  ভারতের হাত ধরে সেদিন স্বাধীনতা লাভের পরে অনেক পট পরিবর্তনের সাক্ষী থেকেছে বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন পালটেছে। আর সেইসবের মধ্যেই 'বিজয় দিবস' উদযাপনের জন্য কলকাতায় এসেছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা (মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশি সেনার অবসরপ্রাপ্ত সদস্য)। আবার ঢাকায় গিয়েছেন ভারতীয় সেনার আটজন প্রাক্তন আধিকারিক। ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা কলকাতা এবং ঢাকায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। 

 

প্রসঙ্গত  ১৯৭১ সাল বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই বছর বাংলাদেশ তার অস্তিত্বের জন্য লড়েছে। বাংলাদেশ পাকিস্তানের ছায়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি নতুন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য যুদ্ধ করেছিল, যাতে ভারত তাকে  সমর্থন করেছিল।  কিন্তু স্বাধীনতার সূর্য দেখতে বাংলাদেশকে চড়া মূল্য দিতে হয়েছিল। এই সময়ে ব্যাপক গণহত্যা ঘটে, আনুমানিক দুই লাখ নারী ধর্ষিত হয়। অবস্থা এমন ছিল যে, একদিকে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একাত্তরের যুদ্ধ চলছিল। অন্যদিকে নারীরা তাদের সম্মান রক্ষার জন্য লড়াই করছিলেন। 

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরতা
ঢাকার লিবারেশন ওয়ার মিউজিয়ামের  তথ্য অনুযায়ী, এই যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দুই লাখ থেকে চার লাখ বাঙালি নারীকে ধর্ষণ করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে এই সময়ে ত্রিশ লাখ বাঙালি মারা যায়, দুই লাখ নারী ধর্ষিত হয় এবং এক কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।  বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় সংঘটিত এই যৌন হিংসাকে  আধুনিক ইতিহাসে গণধর্ষণের সবচেয়ে বড় ঘটনা বলা হয়। একাত্তরের ধর্ষণের রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করা নৃবিজ্ঞানী নয়নিকা মুখোপাধ্যায় বলেছেন, যুদ্ধের সময় ধর্ষণ রাজনৈতিক অস্ত্র হয়ে ওঠে। এটি বিজয়ের জন্য একটি রাজনৈতিক কৌশল এবং শত্রু সম্প্রদায়ের সম্মানের উপর আক্রমণ।

কীভাবে শুরু হয়েছিল যুদ্ধ?
১৯৪৭ সালে, বাংলাকে পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গে ভাগ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অধীনে ছিল যখন পূর্ব বাংলার নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান করা হয়, যা পশ্চিম পাকিস্তানের (পাকিস্তান) অধীনে ছিল। এখানে বিপুল সংখ্যক বাংলাভাষী বাঙালি ছিল এবং এই কারণেই ভাষাগত ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) পাকিস্তানের আধিপত্য থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিল এবং স্বাধীনতার লড়াই লড়েছিল। একটি হিসাব অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি মানুষ বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আসে। সে সময় এই লোকেরা পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামের মতো এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিল।র 

বাংলাদেশ থেকে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ ভারতে আশ্রয় নেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে ১৯৬০-এর দশকেও এমনটা দেখা গিয়েছিল। ১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানে দাঙ্গা এবং ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় প্রায় ছয় লাখ মানুষ ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করেছিল বলে জানা যায়। একই সময়ে, ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৮ সালের মধ্যে প্রায় ৪১ লাখ বাংলাদেশি ভারতে আসেন এবং ১২ লাখ বাংলাদেশি ১৯৫৯ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে ভারতে আসেন।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement