Advertisement

Waqf Board Amendment Bill: 'বিভাজনের রাজনীতি,' ওয়াকফ বিল নিয়ে নিশানা বিরোধীদের, 'বোর্ড মাফিয়াদের কব্জায়,' পাল্টা কেন্দ্র

বৃহস্পতিবার লোকসভায় পেশ হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। আইন সংশোধনের প্রচেষ্টা নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। এবার বিল সংশোধনী উত্থাপনের বিরুদ্ধে নোটিস দিলেন কংগ্রেস সাংসদ কেসি ভেনুগোপাল এবং হিবি ইডেন। সংসদেও বারবার ভারতীয় সংবিধান উদ্ধৃত করে ভিন্ন ধর্মের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করলেন তাঁরা।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 08 Aug 2024,
  • अपडेटेड 4:09 PM IST
  • বৃহস্পতিবার লোকসভায় পেশ হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল।
  • আইন সংশোধনের প্রচেষ্টা নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা।

বৃহস্পতিবার লোকসভায় পেশ হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। আইন সংশোধনের প্রচেষ্টা নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। এবার বিল সংশোধনী উত্থাপনের বিরুদ্ধে নোটিস দিলেন কংগ্রেস সাংসদ কেসি ভেনুগোপাল এবং হিবি ইডেন। সংসদেও বারবার ভারতীয় সংবিধান উদ্ধৃত করে ভিন্ন ধর্মের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করলেন তাঁরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সংসদে ওয়াকফ বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এটি সংখ্যালঘু মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হবে বলে সূত্রের খবর। তবে ওয়াকফ প্রসঙ্গ উত্থাপন করা মাত্রই সরব হন বিরোধীরা। তাঁদের মতে, হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের রাজনীতি উস্কে দিতেই এই বিতর্কিত বিল পেশের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অবধেশ প্রসাদের মতে, 'বিলটি ওয়াকফ সম্পত্তি দখলের জন্য সরকারের একটি প্রচেষ্টা।' অবধেশ জানান, বিলটি সংসদে পেশ হওয়ার সময়ই বিল সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান খোলসা করবে সমাজবাদী পার্টি। উদ্ধবপন্থী শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেন, 'জোটের সকলের সঙ্গে আলোচনা করে বিলটি আনা হচ্ছে তো? জেডিইউ এবং টিডিপি কি এই ওয়াকফ বিল দেখেছে এবং বিল পাশে সম্মতি দিয়েছে? যদি তা না হয়ে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। প্রয়োজন হলে সংশোধন করতে হবে বিল।' আরএসপি সাংসদ এনকে প্রেমচন্দ্রন বলেন, 'সামনেই হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র নির্বাচন রয়েছে। সেই ভোটের কথা ভেবেই ধর্মীয় মেরুকরণের লক্ষ্যে বিলটি আনা হচ্ছে।'

আরও পড়ুন

প্রস্তাবিত সংশোধনটি গ্রাহ্য হলে আইনটির নতুন নাম হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’। এই বিলে পুরনো আইনটিতে ৪৪টি সংশোধন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সংশোধনের মূল লক্ষ্য হল একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করা। এছাড়াও প্রস্তাবিত অন্যান্য সংশোধনগুলির মধ্যে রয়েছে একটি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলের পাশাপাশি প্রতি রাজ্যে ওয়াকফ বোর্ড গঠন, যেখানে মুসলিম মহিলা এবং অমুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

১৯৫৪ সালে প্রথম ওয়াকফ আইন পাশ হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ আইনে সংশোধনী এনে ওয়াকফ বোর্ডের হাতে সব ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই বারবার প্রশ্ন উঠেছে বোর্ডের একচ্ছত্র অধিকার নিয়ে। সরকারের যুক্তি, এ বার বিষয়টিতে স্বচ্ছতা আনতে চলতি বিলে ৪৪টি সংশোধনী আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্তমানে ওয়াকফ আইনের ধারা ৪০ অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষণার অধিকার ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। ফলে ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে বারবার বহু গরিব মুসলিমের সম্পত্তি, অন্য ধর্মালম্বীদের ব্যক্তির সম্পত্তি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে।

Advertisement

ওয়াকফ সংশোধনী অনুযায়ী, নবগঠিত কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হবেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী। এছাড়াও কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যেও আনা হবে রদবদল। নতুন প্রস্তাব বলছে, কাউন্সিলে দু’জন অমুসলিম সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক এবং থাকবেন দু’জন মহিলা সদস্যও। পাশাপাশি, রাজ্যগুলিতে যে ওয়াকফ বোর্ড গঠন হবে, তা শিয়া ওয়াকফ বোর্ড হলে তাতে সব সদস্য শিয়া হবেন এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড হলে তাতে থাকবেন কেবল সুন্নিরাই।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement