Advertisement

Mock Drill: ব্ল্যাকআউট, সাইরেন, উদ্ধার: আচমকা মক ড্রিলে কী করবেন? কেন্দ্রের ৫টি নির্দেশ

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভারত ক্রমশ কড়া প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানকে আরও জোরদার করতে এবার গোটা দেশে বড়সড় উদ্যোগ নিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে একটি দেশব্যাপী ‘মক ড্রিল’ (Mock Drill), যার আওতায় বুধবার ৭ মে একযোগে দেশের ২৪৪টি জেলায় এই মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এমনকি গ্রামীণ এলাকাও এই মহড়ার বাইরে থাকছে না।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 07 May 2025,
  • अपडेटेड 11:05 AM IST
  • জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভারত ক্রমশ কড়া প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।
  • প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানকে আরও জোরদার করতে এবার গোটা দেশে বড়সড় উদ্যোগ নিল কেন্দ্র।

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভারত ক্রমশ কড়া প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানকে আরও জোরদার করতে এবার গোটা দেশে বড়সড় উদ্যোগ নিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে একটি দেশব্যাপী ‘মক ড্রিল’ (Mock Drill), যার আওতায় বুধবার ৭ মে একযোগে দেশের ২৪৪টি জেলায় এই মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এমনকি গ্রামীণ এলাকাও এই মহড়ার বাইরে থাকছে না।

সাধারণ নাগরিকদের জন্য জরুরি নির্দেশিকা
এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য, যুদ্ধ বা জঙ্গি হামলার মতো হঠাৎ কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সরকার এবং সাধারণ মানুষ কতটা প্রস্তুত, তার মূল্যায়ন করা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি স্পষ্ট নির্দেশিকায় জানিয়েছে, মক ড্রিলের সময় সাধারণ মানুষকে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে, সেই শিক্ষা দেওয়াই এর প্রধান লক্ষ্য।

নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে:

বাড়িতে অবশ্যই টর্চ, মোমবাতি, ফার্স্ট এইড কিট এবং শুকনো খাবার মজুত রাখতে হবে।

নগদ অর্থও হাতের কাছে রাখতে হবে, কারণ ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে ডিজিটাল পেমেন্ট কাজ নাও করতে পারে।

সাইরেন বাজলে ঘাবড়াবেন না, বরং আগে থেকে শিখে রাখুন কীভাবে নিরাপদ স্থানে যেতে হবে।

আচমকা ব্ল্যাকআউট হলে কী করবেন, তা আগেই জেনে নিতে হবে।

কারা অংশ নিচ্ছেন এই মহড়ায়?
এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছেন:

জেলাশাসক ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা

হোম গার্ড ও নাগরিক সুরক্ষা কর্মী

এনসিসি ক্যাডেট ও নেহরু যুব কেন্দ্রের সদস্য

স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা

তাঁদের মাধ্যমে ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতি, বিমান হামলার সতর্কতা, সাইরেন ব্যবস্থার কার্যকারিতা, এবং উদ্ধারকাজের অনুশীলন করা হবে।

যুদ্ধ পরিস্থিতির ইঙ্গিত?
প্রসঙ্গত, এই মহড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নৌসেনা ও বায়ুসেনা প্রধানদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। কেন্দ্রীয় সূত্রে দাবি, পাহেলগাম হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারতের তরফে জঙ্গি ঘাঁটির উপর প্রত্যাঘাত যে হতে পারে, তা একপ্রকার সময়ের অপেক্ষা বলেই ধরা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই মহড়া নির্দেশিকার পর প্রশ্ন উঠেছে—এটা কি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতিরই অঙ্গ?

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement