কপালে চারটি সেলাই, ব্যান্ডেজ। হুইলচেয়ারে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গাড়ি করে কালীঘাটে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অভিষেকের গাড়িতে বাড়ি ফেরেন তিনি। এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে বাঙুর ইন্সটিটিউট অফ নিউরোসায়েন্স থেকে তাঁকে ফের এসএসকেএমে আনা হয়। তাঁর এমআরআই, সিটি স্ক্যান হয়। তারপরই বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। কপালে চারটি সেলাই পড়েছে বলে জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি স্থিতিশীল তাও জানান।
এসএসকেএম হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, "তাঁর কপালে গভীর ক্ষত ছিল। ৩টি সেলাই হয়। নাকে ক্ষত ছিল সেখানেও একটি সেলাই পড়ে। তারপর ড্রেসিং করা হয়, তাঁর সিটি স্ক্যান হয়। তাঁকে হাসপাতালে থাকতে বলা হলে বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন। আগামিকাল ফের তাঁর স্বাস্থ্যের পরীক্ষানিরীক্ষা হবে।"
কপালে গভীর ক্ষত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা যায়, বাড়ির চত্বরে হাঁটার সময় পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কপালে সেলাই করা হয়। তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার) থেকে মমতার কপাল ফেটে যাওয়ার ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়।
তাঁর সুস্থতা কামনা করে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাসভবন চত্বরে হাঁটছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেই সময়েই পড়ে যান তিনি। তাঁর কপাল ফেটে গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এআইটিসি (AITC) অফিশিয়াল পেজ থেকে তিনটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপালে রক্ত। হাসপাতালে একে একে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে আসতে শুরু করেছেন। আসছেন দলীয় নেতারা। এসেছেন মুখ্যসচিব, কলকাতার নগরপাল। এদিন নবান্নে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে যান একডালিয়ায়। প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি উন্মোচন করেন। সূত্রের খবর, এরপর বাড়িতে চলে যান মমতা।
আসেন দলীয় নেতারা, মুখ্যসচিব, কলকাতার নগরপাল। এদিন নবান্নে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে যান একডালিয়ায়। প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি উন্মোচন করেন। সূত্রের খবর, এরপর বাড়িতে চলে যান মমতা।অনুরাগীরা তাঁর সুস্থতা কামনায় ভিড় করেছেন হাসপাতালে।
ইতিমধ্যেই এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুরে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে সভা করেছিলেন অভিষেক। সেখান থেকে কলকাতা ফিরেই তিনি সোজা এসএসকেএম হাসপাতালে যান। অভিষেকের পাশাপাশি এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছেন লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। গিয়েছেন ছোট ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
সূত্রের খবর, বাড়িতেই হাঁটার সময় ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে মুখ্যমন্ত্রীর চোট কতটা গুরুতর, তা বোঝার চেষ্টা করছেন। নিউরো মেডিসিন, নিউরো সার্জারি, কর্ডিওলজি, চেস্ট ও মেডিসিন-সহ দশ সদস্যের মেডিক্যাল টিম তৈরি হয়েছে তাঁর চিকিৎসার জন্য।