Advertisement

Jagdeep Dhankhar: সাদা কাগজে সই করানো হয়? ধনখড়ের ইস্তফার আগে রাজনাথের ঘরে বারবার মিটিংয়ে 'রহস্য'

সোমবার সন্ধ্যায় উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের ইস্তফা সকলকে হতবাক করে দেয়। জানা গিয়েছে, ইস্তফার আগে রাজনাথ সিংয়ের দফতরে দফায় দফায় বৈঠক হয়। সেখানে কি উপস্থিত ছিলেন ধনখড়? কী জানা যাচ্ছে?

মৌসুমী সিং
  • নয়াদিল্লি,
  • 22 Jul 2025,
  • अपडेटेड 9:44 AM IST
  • উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের ইস্তফা সকলকে হতবাক করেছে
  • ইস্তফার আগে রাজনাথ সিংয়ের দফতরে দফায় দফায় বৈঠক
  • সাদা কাগজে সই করানো হয় কাউকে?

উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে জগদীপ ধনখড়ের আচমকা ইস্তফা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলকে। স্বাস্থ্যে অবনতির কথা জানিয়ে ২১ জুলাই সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেন তিনি। সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনের এই ঘটনায় হতবাক বিরোধী দলগুলিও। সত্যিই কি ধনখড়ের এই পদক্ষেপের নেপথ্যে স্বাস্থ্যের অবনতি না অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, এই নিয়ে জল্পনা এখন তুঙ্গে। প্রশ্ন উঠছে ইস্তফার সময় নিয়েও। আচমকা ইস্তফার বিষয়টি খটকা তৈরি করেছে সকলের মনেই। 

এর মাঝেই কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, তিনি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে ফোনে কথা বলেন। সে সময়ে ধনখড় নিজের পরিবারের সঙ্গে ছিলেন এবং জানান মঙ্গলবার কথা বলবেন। তার আগে বিকেল ৫টা নাগাদ জয়রাম রমেশ, প্রমোদ তিওয়ারি এবং অখিলেশ প্রসাদ সিং ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সব কিছু ঠিকঠাকই মনে হয়েছিল জয়রাম রমেশের। বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটির বৈঠক নিয়েও আলোচনা হয় তাঁদের। 

তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কার্যালয়ে নানাপ্রকার গতিবিধি ধোঁয়াশা তৈরি করেছে। সূত্রের খবর, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক BJP সাংসদ বলেন, 'সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল।' যদিও খোলসা করে কিছুই এ প্রসঙ্গে বলতে চাননি। 

কংগ্রেসের সাংসদ অখিলেশ প্রসাদ সিং জানিয়েছেন, সকলের শেষে সংসদ ভবন থেকে জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়েছিলেন তিনিই। তাঁর স্বাস্থ্য ঠিক ছিল বলেও উল্লেখ করেন এই সাংসদ। সে সময়ে ইস্তফা দেওয়ার কোনও ইঙ্গিতও দেননি ধনখড়। পাশাপাশি তিনি কোনও একটি সমিতিতে যোগদানের কথা জানিয়েছিলেন তবে খোলসা করে কিছু বলেননি, এমনটাই উল্লেখ করেছেন অখিলেশ প্রসাদ সিং। 

বড়সড় কোনও রাজনৈতিক বদল হতে চলেছে?
বাইরে থেকে সামান্য মনে হলেও এই ঘটনার নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক ঝড় উঠতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। 

ঘটনাপ্রবাহ
দুপুর ২.০০:
লোকসভায় প্রায় ১০০ জন বিরোধী সাংসদ বিচারপতি ভার্মার ইমপিচমেন্টের জন্য স্বাক্ষর করেন। এরপরই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে থাকা জগদীপ ধনখড়ও বিচারপতি ভার্মার ইমপিচমেন্ট নিয়ে বিরোধীদের নোটিশ গ্রহণ করে নেন। 
বিকেল ৪.০৭: ইমপিচমেন্ট নোটিশে বিরোধী দলের ৬৩ জন সাংসদের স্বাক্ষর রয়েছে তা নিশ্চিত করেন জগদীপ ধনখড়। বিচারপতির ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পর্কে সকলকে অবগতও করেন। 
সন্ধ্যা ৫.০০-৬.০০: বিরোধী দলের সাংসদদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সন্ধ্যা ৭.৫০: ইস্তফা দেন জগদীপ ধনখড়। 

Advertisement

রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে সেটাই যে তাঁর অন্তিম বক্তব্য ছিল, তা বিন্দুমাত্রই আভাস পেতে দেননি কাউকে। একইসঙ্গে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে, এ ইঙ্গিতও সোমবার রাজ্যসভার অধিবেশন চলাকালীন কাউকে জানানি এবং বুঝতেও দেননি জগদীপ ধনখড়।

রাজনাথ সিংয়ের দফতরে কী কী হল?
সোমবার সন্ধ্যায় দফায় দফায় বৈঠক হয় রাজনাথ সিংয়ের কার্যালয়ে। তাঁকে সেখানে ঢুকতে এবং সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে যেতেও দেখা যায়। সেখানেই কি তবে সাদা কাগজে সই করানো হয় কাউকে? জল্পনা তুঙ্গে। আদৌ ওই বৈঠকে ধনখড় উপস্থিত ছিলেন কি না, সেটিও স্পষ্ট হয়। 

সূত্রের খবর, ইস্তফা ঘোষণার আগে তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ২০ থেকে ২৫ মিনিট সেই বৈঠক হয়।


 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement