COVID-এর নয়া ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এর জেরে চিনে মৃত্যু মিছিল। হাসপাতাল থেকে শ্মশান, জায়গা নেই কোথাও। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতেও কড়া নাড়ছে করোনার আরেকটি ঢেউ। ইতিমধ্যেই ভারতে একাধিক ব্যক্তির শরীরে Coronavirus-এর নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে।
যদিও একদল বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতীয়দের শরীরে এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট আগেই প্রবেশ করেছিল। তার জেরে ইমিউনিটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাই ভয়ের কিছু নেই। তবু সাবধানের মার নেই। বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, এবার আর লকডাউনের প্রয়োজন নেই। শুধু মাস্ক পরা, হাত ধোওয়ার মতো নিয়মগুলি মানলেই হবে। বস্তুত, RTPCR টেস্টে এই ভাইরাসটি অনেক সময় ধরাই পড়ছে না।
ভ্যাকসিনে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ভ্যারিয়েন্ট সেই সব মানুষদেরই ক্ষতি করবে, যাঁরা ভ্যাকসিন নেননি। ইমিউনিটি দুর্বল। এছাড়াও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত। যাদের বুস্টার ডোজ সহ ৩টি টিকাই হয়ে গিয়েছে, তাদের COVID BF.7 ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত হলেও উপসর্গ কম থাকবে।
ওমিক্রন BF.7-ই কি এ যাবত্কালের সবচেয়ে খতরনাক?
ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্টকে অতীতের সব কটি ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন ডাক্তাররা। তবে এই ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ আগেরগুলির মতোই প্রায়। সে ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি ওমিক্রন BF.7 আক্রান্ত, কী করে বোঝা যাবে?
কীরকম কাশিতে বোঝা যাবে COVID হয়েছে?
শুষ্ক কাশি-- করোনার বেশির ভাগ রোগীরই দেখা যাচ্ছে শুষ্ক কাশি হচ্ছে। প্রথম প্রথম হালকা কাশি হচ্ছে। তারপর দিন যত এগোচ্ছে কাশির ধমক বাড়ছে। যদি কোনও ব্যক্তির একাধিক সপ্তাহ ধরে শুষ্ক কাশি থাকে, তাহলে তা কোভিডের লক্ষণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দ্রুত টেস্ট করানোই বুদ্ধিমানের।
ক্লান্তি-- শীতকালে বা হাওয়া পরিবর্তনে সর্দি-কাশি হলে খুব একটা ক্লান্তি অনুভূতি হয় না। কিন্তু COVID-এর নয়া ভ্যারিয়েন্টে শরীরে ভীষণ ক্লান্তি অনুভূত হচ্ছে। কাশির চোটে রাতে ঘুমও হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে অবিলম্বে টেস্ট করলেই ভাল।